ইন্দ্রজিৎ আইচ
আদিত্য গ্রুপ সম্প্রতি সামাজিক কল্যাণের প্রতি তাদের অঙ্গীকারকে আরও দৃঢ় করেছে, ফিড (FEED -Food Education and Economic Development)-এর উদ্যোগের সমর্থনে। এই উদ্যোগ মূলত অনাহার মোকাবিলা, গুণগত শিক্ষার প্রসার এবং সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের মৌলিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করে।
‘ফুড ম্যান’ নামে পরিচিত চন্দ্রশেখর কুন্ডুর নেতৃত্বে এই উদ্যোগটি ইতিমধ্যেই খাদ্য অপচয়, অনাহার ও শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এক শিশুকে রাস্তার ধারে আবর্জনার স্তূপ থেকে খাবার খুঁজে নিতে দেখে গভীরভাবে প্রভাবিত হয়ে কুন্ডু তার এই মানবসেবার যাত্রা শুরু করেন, যা আজ এক বহুমাত্রিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে এবং অগণিত মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।
এই উদ্যোগের আওতায় আদিত্য গ্রুপ খাদ্য অপচয় রোধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অফিস থেকে বেঁচে যাওয়া খাবার সংগ্রহ করে অভুক্ত মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বাচ্চাদের আধুনিক শিক্ষার সুবিধা দেওয়ার জন্য চালু করা হয়েছে স্মার্ট ক্লাসরুম, যা তাদের ভবিষ্যত গড়ার শক্তি জোগাবে। এছাড়াও, সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য নিয়মিত পোশাক বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, যা তাদের আত্মসম্মান ও মর্যাদা বজায় রাখতে সাহায্য করছে।
এই উদ্যোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ছিল আদিত্য গ্রুপের কনফেকশনারি ব্র্যান্ড ক্রিম্জ (Kreamz), যার পশ্চিমবঙ্গজুড়ে ১৫০-রও বেশি স্টোর রয়েছে। ফিড-এর মহৎ উদ্যোগে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ বাড়াতে ক্রিম্জ-এর প্রতিটি আউটলেটে দানবাক্স স্থাপন করা হয়, যেখানে ক্রেতারা স্বেচ্ছায় সাহায্য করতে পারেন।
এছাড়াও, আদিত্য গ্রুপের কর্মীরা সক্রিয়ভাবে এই উদ্যোগে অংশ নেন, যার ফলে প্রতিষ্ঠানের ভেতরেই দানের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। ফিড-এর সহায়তায় পড়াশোনা করা বাচ্চাদের সাফল্যও উদযাপন করা হয়েছে, যাতে তারা ভবিষ্যতে আরও ভালো করার অনুপ্রেরণা পায়।
ফিড প্রতিদিন হাজার হাজার অনাহারী শিশুর জন্য খাদ্য সরবরাহ করছে, নিশ্চিত করছে যাতে কোনো শিশুকে খালি পেটে থাকতে না হয় এবং তারা সঠিক পুষ্টি পায়।
এই উদ্যোগ সম্পর্কে আদিত্য গ্রুপের চেয়ারম্যান অনির্বাণ আদিত্য বলেন, “আদিত্য গ্রুপের বিশ্বাস, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমাজে সত্যিকারের পরিবর্তন আনা সম্ভব। ফিড-এর সঙ্গে আমাদের এই সহযোগিতা মূলত ক্ষুধামুক্ত সমাজ গড়ার এক পদক্ষেপ, যেখানে প্রতিটি মানুষ উন্নত ভবিষ্যতের সুযোগ পাবে।”*
এই মহতী উদ্যোগের মাধ্যমে আদিত্য গ্রুপ আরও একবার প্রমাণ করলো যে তারা শুধু ব্যবসায়িক সাফল্যেই নয়, সমাজের সার্বিক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা টেকসই সুযোগ সৃষ্টি, মানুষকে স্বনির্ভর করার প্রচেষ্টা এবং একটি অধিক সমতার ও মানবিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।
