প্রদীপ কুমার সিংহ:
ঘরের পাশের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে বিকালে মজা করে গল্প হাসি ঠাট্টা ইয়ার্কি সব করেছে। তারপরে ই পাশের বাড়ির লোক খবর পায় হঠাৎ গলায় দড়ি দেয় পাশের ঘরে লোকটি এবং তার স্ত্রী দেহ পড়ে বিছানাতে। সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দিলে থানার পুলিশ তড়িঘড়ি ছুটে আসে। ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানার রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শনগর এলাকায়। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায়। মৃতদের নাম তরুণ দাস (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী আশা দাস (৩৫)। স্থানীয় সূত্রে খবর তারা ছয় মাস ধরে ওই এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় তাদের দেহ উদ্ধার করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তরুণ দাসের দেহ ফ্যানের সঙ্গে গামছা দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল, আর স্ত্রী আশা দাসের দেহ বিছানায় শোয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। আশার মুখে রক্ত ও গলায় দাগ থাকার কারণে অনুমান করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এরপরই তরুণ দাস আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে পাশের বাড়ির এক শিশুর মাধ্যমে। সে কোনো কারণে ওই বাড়িতে ঢুকে ভয়াবহ দৃশ্য দেখে ফেলে এবং সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের লোকজনকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তরুণ ও আশা স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবনযাপন করছিলেন। ঘটনার দিন সকালে তারা যথারীতি কাজে বের হন এবং সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরে আসেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথাও বলেন, এমনকি হাসিঠাট্টাও করেন। তাই আচমকা এই ঘটনায় হতবাক সবাই। তবে, প্রতিবেশীদের আরও জানাচ্ছেন, তরুণ দাস মাঝেমধ্যেই মদ্যপান করতেন, যা নিয়ে দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত। পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে এই নৃশংস ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এটি আত্মহত্যা না পরিকল্পিত খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃত দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে, যারা ঘটনাস্থলের কাছাকাছি মামার বাড়িতে রয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ, তবে এখনো কোনো সুস্পষ্ট কারণ পাওয়া যায়নি। এই আকস্মিক মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নরেন্দ্রপুর থানার পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার মৃত ও দম্পতি দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
