রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দল তৃনমূলের নেতাজি ইন্ডোরের সাংগঠনিক সভা থেকে আসন্ন বিধানসভার নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্য মাত্রা বেঁধে ছিলেন ২১৫টি আসন।আর এর পাল্টা বিজেপির জন্যে আসন্ন বিধানসভার নির্বাচনে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর লক্ষ্য ১৮০টা আসন ! বৃহস্পতিবার শুভেন্দুর নির্বাচন জয়ের লক্ষ্য মাত্রা শোনার পর কটাক্ষ শুরু করেছে তৃনমূল নেতারা।বিধানসভা নির্বাচনের প্রায় এক বছর আগেই শুভেন্দু অধিকারী কার্যত বিজেপির হার স্বীকার করে নিতে শুরু করেছেন বলেও দাবি করেছেন তাঁরা।
দোলে অশান্তির ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতা হাই কোর্টের অনুমতি নিয়ে বৃহস্পতিবার তমলুকে প্রতিবাদ মিছিল করেন শুভেন্দু।সেই মিছিল থেকেই দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা,লোকসভা ভোটে জেলার দু’টি আসনই আপনারা নরেন্দ্র মোদীকে উপহার দিয়েছিলেন। শপথ নিন আমরা এই জেলা থেকে ১৬টি আসনেই জিতব। রাজ্যে হব ১৮০ অন্তত। এ বার মমতাকে প্রাক্তন করব।আর এই ঘোষনা শোনার পরেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি কত আসনের জয়ী হবে তাই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে
রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা কিছুদিন ধরে হুঁশিয়ারি দিচ্ছিলেন ভবানীপুরে নির্বাচন লড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাবেন ।তবে কয়েক দিন আগে নিজের সেই দাবি থেকে ১৮০ ডিগ্রী সরে গেছেন।কেন তিনি আগ বাড়িয়ে ভবানীপুরে নামবেন বলেন,আবার কেন সেই ঘোষনা থেকে সরে এলেন তাই নিয়েও চর্চা তুঙ্গে।স্বাভাবিক ভাবে তৃনমূল দাবি করেছে হার নিশ্চিত বুঝেই শুভেন্দু নিজের ভুল তড়িঘড়ি শুধরেছেন।যার জেরে কর্মী মহলে হতাশা ছড়িয়েছে,আসন্ন বিধানসভার নির্বাচনে দলের ফলাফল কি হতে পারে চর্চা শুরু হয়েছে বিজেপির কর্মী মহলে।এবং সেই চর্চা হতাশা ব্যাঞ্জক।সেই রেশ কাটতে না কাটতে শুভেন্দুর আজকের এই ঘোষনার পর থেকেই জেলা জুড়ে কার্যত হতাশ বিজেপির কর্মীরাই।আর জেলা জুড়ে কটাক্ষ শুরু করেছেন তৃনমূল নেতারা।
এমনিতেই কয়েক দিন আগে হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মন্ডল দলত্যাগ করে তৃনমূলে নাম লেখানোয় হতাশা বেড়েছে বিজেপির নীচুতলায়।তারপর প্রায় প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বুথ স্তরে বিজেপির জনপ্রতিনিধি,নেতা,কর্মীরা শাসক দলের নাম লেখাছে।জেলার বেশীর ভাগ সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয়ী হচ্ছে তৃনমূলের প্রার্থীরা।তার মাঝে শুভেন্দু অধিকারীর আসন্ন বিধানসভার নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্য মাত্রা মাত্র ১৮০টা আসন শোনায় বিজেপির কর্মী মহলে ছড়িয়েছে হতাশা।
গত রাজ্য বিধানসভা ভোটে দুশো পারের ডাক দিয়েছিল বিজেপি।তৃনমূলের নেতা-মন্ত্রী ভাঙ্গিয়ে,বিভিন্ন মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থাদের দিয়ে নেতা-মন্ত্রীদের জেলে ভরেও কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি। মাত্র ৭৭টি আসনে থমকে গিয়েছিল পদ্মশিবিরের রথ।
এবার সেই সংখ্যাটা ৭৭ ছাড়য়ে কত নিম্নমুখি হবে শুভেন্দু অধিকারীর আসন জয়ের লক্ষ্য মাত্রা ঘোষনার পরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিজেপির কর্মী মহলে।
