লোকসভা নির্বাচনের সময় কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের রামনগরে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস মুখ থুবড়ে পড়লেও, আগামী বিধানসভা’কে সামনে রেখে বিজেপি’র ঘরে থাবা বসালো তৃনমূল। বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর ২ ব্লকের বালিসাইতে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পার্টি অফিসে পালধুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রতীকে জেতা চার জন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করলো। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি সংগঠনিক জেলার যুব তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা কাঁথি পুরসভা পুরপ্রধান সুপ্রকাশ গিরি হাত ধরে ৪ জন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য, বিজেপি নেতৃত্ব ও ২০টির বেশি বিজেপি পরিবার তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করলো।উল্লেখ্য গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে পালধুই বিজেপি দখল করে, চারজন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তৃনমূলের যোগদান করার পরই তৃণমূলের সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যা বাড়লো। আগামী দিনে হয়তো পালধুই গ্রাম পঞ্চায়েত শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস দখল করবে বলে দাবি রাজ্যের শাসকদলের!
এদিন সকালে রামনগর ২ ব্লকের বালিসাই তৃণমূলের দলীয় পার্টি অফিসের চলে যোগদান। এদিন পালধুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রতীকে জেতা পঞ্চায়েত সদস্য মনোজিৎ মান্না, চৈতালি গিরি , সঞ্জয় গারু, প্রিয়াঙ্ক মাইতি, বিজেপি নেতা গৌতম জানা সহ ২০ টি বেশি পরিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলো। বিধানসভা নির্বাচনের আগে রামনগরের রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হল বলে অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
সুপ্রকাশ গিরি বলেন দিন কয়েক আগে হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে এসেছেন। মহিষাদলেও একাধিক বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে এসেছেন। এবার রামনগরেও একই ভাবে তৃণমূলে এলেন বিজেপির একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য।
রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলাতেই বিধানসভার নির্বাচনের আগে একের পর এক ধ্বস বিজেপির চিন্তা বাড়ালো
