কলকাতা উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনেই বিজেপি নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার তমলুক শহরে মিছিল করলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত তমলুকে মিছিলের প্রথমে অনুমোদন দেয়নি পুলিশ। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই আবেদন শুনে শর্ত সাপেক্ষে শুভেন্দুকে মিছিলের অনুমতি দেয় হাইকোর্ট।
আদালতের নির্দেশে উস্কানিমূলক মন্তব্য থেকে বিরত থাকলেও শুভেন্দুর ঘোষণা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের সবকটি আসনে জয় ছিনিয়ে নেবেন তিনি। সেই সঙ্গে রাজ্যজুড়ে কমপক্ষএ ১৮০ আসন দখলের লক্ষ্যমাত্রাও বেঁধে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। এদিন চাপা উত্তেজনার আবহেই আদালতের নির্দেশ মেনে শুভেন্দুর মিছিল হয়।যে কোন ধরনের উত্তেজনা এড়াতে পুলিশি নিরাপত্তা ছিল নজরকাড়া।
এদিন হাইকোর্টের বেঁধে দেওয়া সময় মেনেই বেলা ১টা নাগাদ তমলুকের রাজবাড়ি ময়দানে দলিয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মিছিলে যোগ দেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর মিছিলে দলীয় পতাকার পাশাপাশি শোভা পাচ্ছিল ধর্মীয় পতাকাও। তাঁর মিছিলে যোগ দেন একাধিক কীর্তনের দল। এই মিছিল বর্গভীমা মন্দির ঘুরে তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ পেরিয়ে ক্ষুদিরামের মূর্তির কাছে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে শুভেন্দু রাজ্য সরকারের পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধেও একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন।
তবে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতোই এই মিছিল থেকে উস্কানি মূলক ভাষণ থেকে নিজেকে বিরত রাখেন শুভেন্দু। তিনি জানান, দোলের দিন তমলুক শহরের পাশাপাশি নন্দকুমারের ব্যবত্তারহাট এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু সেই সময় ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে থানায় পালিয়ে যায়। আর এই ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল করতে গেলে পুলিশ তার অনুমোদন দেয়নি।
এদিন মিছিল শেষে শুভেন্দু জানান,আদালতের নির্দেশ মতোই বেলা ১টায় মিছিল শুরু করে নির্ধারিত সময় আড়াইটার কিছু আগেই তা শেষ করেছি। শুভেন্দুর উক্তি,মিছিলের অনুমতি দেওয়ার সময় আদালত জানিয়েছিল এক হাজারের বেশী মানুষকে নিয়ে মিছিলে হাঁটা যাবে না। আমরা সেই নির্দেশ মেনেই এক হাজার মানুষকেই মিছিলে যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলাম। তবে তার বাইরেও যে শুভেন্দুর মিছিল ঘিরে বহু মানুষের উৎসাহ রয়েছে তা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, মিছিল যতই এগিয়েছে ততই উৎসাহী মানুষ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এই কর্মসূচী থেকে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করে বলেন পুলিশ মন্ত্রী ব্যর্থ। তারই প্রতিফলন দোলের দিন তমলুকে হামলার ঘটনা। তাই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬টি আসনই জেতার লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। সেই সঙ্গে রাজ্য জুড়ে কমপক্ষ্যে ১৮০টি আসন জিতে তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার জন্য সবাইকে একজোট হয়ে লড়াইয়ে নামার বার্তা দিচ্ছি।
