কেকা মিত্র :- প্রতিবছরের মতন দুদিন ধরে মহাজাতি সদনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ৪৫ তম সর্বভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতি পরিষদের সমাবর্তন উৎসব।
১৯৭৬ সালে এই পরিষদ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ঐতিহ্য, আড়ম্বর, আধুনিকতাএবং গুরু শিষ্য পরম্পরা র মধ্যে দিয়ে প্রতি বছর এই উৎসব পালন করে এই পরিষদ। এই বছর এই সমাবর্তন এ ১২০০ ছাত্র ছাত্রী সংস্কৃতির নানা ক্ষেত্রের জন্যে সার্টিফিকেট গ্রহণ করে।
প্রথমদিন প্রদীপ জ্বালিয়ে এই সমাবর্তন এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন
ঝাড়গ্রাম সাধুরাম চাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য, অধ্যাপক অমিয় কুমার
পান্ডা, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আসাম ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য জিতেন হাজারিকা। ছিলেন বাংলাদেশ যশোর এর প্রাচ্য সংঘের প্রতিষ্ঠাতা বেনজীন খান ও বাংলাদেশ নওগাঁ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মহম্মদ কায়েসুদ্দিন। সকল অতিথিরা পরিষদের এই উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানায় ও সকল ছাত্র ছাত্রীদের মানপত্র প্রদান করেন।
সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন সর্বভারতীয় পরিষদের সম্পাদক কাজল সেনগুপ্ত।
এইবছর পরিষদের পক্ষ থেকে কলামনি পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় বিখ্যাত চিত্রকর সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়, চিত্রশিল্পী সমীর আইচ ও সঙ্গীত শিল্পী অলোক রায়চৌধুরীর হাতে। বিভিন্ন শিল্পের কৃত্তিতের জন্যে সর্বভারতীয় এওয়ার্ড এই বছর প্রদান করা হয় আসাম এর চিত্তরঞ্জন চক্রবর্তী,উত্তর ২৪ পরগনার শিবনাথ সর্ববিদ্যা, সুশান্ত সরকার, নির্মল চন্দ্র সিনহা, হুগলী র তরুণ কুমার দাস, কলকাতার তপন সরকার, ইন্দ্রজিৎ নারায়ণ, শিলিগুড়ি র গুরু সঙ্গীতা চাকি ও নদীয়ার সুমিত নাথ।
মঞ্চে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ঠ নৃত্যশিল্প ড: মহুয়া মুখোপাধ্যায়,
ড: থাঙ্কুমুনি কুট্টি , অভিনেত্রী মিতা চট্টোপাধ্যায়, সঙ্গীত পরিচালক কল্যাণ সেন বরাট, পণ্ডিত সমর নাগ, নৃত্য শিল্পী কোহিনুর সেন বরাট, মিতা নাগ সহ আরো অনেক শিল্পীবৃন্দ।
সমাবর্তন এর দ্বিতীয়দিন পুরস্কার প্রাপ্ত ছাত্র ছাত্রীরা সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন।এইদিন উপস্থিত ছিলেন দুই সঙ্গীত শিল্পী নিপবিথী ঘোষ, চন্দ্রাবলী রুদ্র দত্ত, অভিনেত্রী দেবাদৃতা ও অভিনেতা রাহুল দেব বোস। সমগ্র অনুষ্ঠানটির ভাবনা ও পরিকল্পনা ছিলেন শান্তনু সেনগুপ্ত। সঞ্চালনায় ছিলেন দেবাশিস বসু।
সবমিলিয়ে মহা সাড়ম্বরে উদযাপিত হলো দুদিনের এই সমাবর্তন উৎসব।