জন্ম থেকেই একটা পা অচল,তাতে কি নিজের প্রতিবন্ধকতাকে ছুঁড়ে ফেলে গরীব অসহায় মানুষের পাশে থাকাকে নিজের একমাত্র লক্ষ্য করেছে অনির্বাণ বাসু।
মেদিনীপুর শহরের বাড়মানিকপুরে মাকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন বছর ৪০ এর এই অনির্বাণ বাসু। গত ২০১৯ সালে বাবাকে হারিয়েছেন। মা মনামী বাসু বর্তমানে হার্ট ও সুগারের রোগী।
মাধ্যমিক পাস এই অনির্বাণের কাজই হল দিনে ও রাতে থানায় উপস্থিত থেকে আইনি সাহায্য করা।এ আইনি সাহায্য কেমন?আসলে যারা কোতোয়ালি থানায় দূর-দূরান্ত থেকে আসেন নিজের অভিযোগ নিয়ে,তাদের মধ্যে অনেকের লেখাপড়া নেই,ঠিকমত অভিযোগ পত্র লিখতে পারেনা । তারা থানার বাইরে চক্কর কাটতে থাকেন।আর তাদের অভিযোগ লেখাতে সাহায্য করে অনির্বাণ। যখনই কাউকে দেখেন বিপদে পড়েছে তখনই তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এখন এতটাই পরিচিত মুখ যে লোক রাতে ভিতে তাকে ফোন করে অভিযোগ লিখে দেওয়ার জন্য বলেন। আর তার বিনিময়ে জোটে কারো কাছে দশ টাকা তো কারো কাছে কুড়ি টাকা।কখনো কখনো বিনা মূল্যেই সে অভিযোগ পত্র লিখে দেন তিনি।
মানুষের সর্বক্ষন পাশে থাকলেও সরকার কিংবা প্রশাসন বা এলাকার রাজনৈতিক নেতারা কোন ভাবে তাকে সাহায্য করেনা বলে আক্ষেপ করেছেন অনির্বান।বলেন একটু বেশী উপার্জনের ব্যাবস্থা হলে মায়ের ভালো চিকিৎস্যা করাতে পারতাম