পূর্ব রেলের মেন শাখার বার্ষিক সম্মেলন হলো সোনারপুরে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সোনাপুর অন্তত সোনারপুর সত্যজিৎ রায় রেলওয়ে ইনস্টিটিউট হলে।
ইআরএমসি কমিটির সভাপতি বিনোদ শর্মা, সম্পাদক স্বপন দত্ত, শিয়ালদা সাউথ সেকশনে ইআরএমসি সভাপতি মানিক লাল চ্যাটার্জি, সম্পাদক তাপস দাস সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ।
পূর্ব রেলওয়ে মেন শাখার বাৎসরিক সম্মেলন তিন বছর অন্তর হয়। এবার সোনারপুরে হল সত্যজিৎ রায় রেলওয়ে ইনস্টিটিউট হলে।
এই সম্মেলনের পুরনো কমিটি বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠন হলো। এই সম্মেলন আগের কমিটি কি কি কাজ করেছে তার কিছু বর্ণনা কোভিড মহামারী কালে সমস্ত স্টাফেদের মাক্স,, স্যানেটাইজার। বিতরণ, প্রতিবছর তীব্র দাবদহের সময় স্টাফেদের মধ্যে ওয়ার্ক ও আর এস বিতরণ করা হয়েছে ,গ্যাংহাট গুলিতে বিশুদ্ধ পানীয় জল ওয়াটার ফিল্টার বিতরণ করা, ট্রাক মেটেনারদের থেকে অ্যান্টিজেন ক্যাটেগরিতে প্রমোশন করানো হয়েছে, সোনারপুর অধীনে সমস্ত এল সি গেটে ডিউটি রোস্টার ১২ঘন্টা থেকে ৮ ঘণ্টা করানো হয়েছে। সাউথ সেকশনে দশটা স্টেশনে বুকিং কাউন্টার ও কেন্ট পিউরিফাই বসানো ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুভাষগ্রাম স্টেশনে মহিলা স্টাফেজ এর জন্য লেডিস ড্রেস চেঞ্জ রুম ও টিফিনের রুমে ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাউথ সেকশনে কমার্শিয়াল স্টাফেদের দাবি অনুযায়ী ওয়ান সিটিতে পোস্টিং করানো হয়েছে ইত্যাদি এইরকম ৪২ টা দাবি পূরণ করা হয়েছিল।
এবার যে নতুন কমিটি হয়েছে সেই নতুন কমিটির দাবি থাক থাকবে এনপিএস বাতিল করে পুরনো পেনশন ওপিএস চালু করতে হবে। রেল বেসরকারিকরণ ও বিদেশী বিনিয়োগ করা চলবে না। শ্রমিক আইন পরিবর্তন করে শ্রমিকদের অধিকার খর্ব করা চলবে না। বোনাসের উর্ধ্বসীমা বাতিল করতে হবে। অবিলম্বে সমস্ত শুন্য পথ পূরণ করতে হবে। অবিলম্বে বারুইপুর নামখানা বারুইপুর ডায়মন হাওড়া সমস্ত গেটের ৮ ঘন্টা ডিউটি রোস্টটা চালু করতে হবে। বিশেষ বিশেষ গেট গুলি স্পেশাল অ্যালাউন্স প্রদান করতে হবে। টিআরডি ডিপার্টমেন্ট ও বিভিন্ন দাবি আদায় অবস্থান চলছে চলবে। মহিলা কর্মচারীদের কর্ম ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে হবে। সাউথ সেকশনের বিভিন্ন বুকিং অফিসে অবিলম্বে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওয়ার্ল্ড ব্র্যাকেট ফ্যান দিতে হবে। এম এস সি পি নির্দিষ্ট সময় প্রদান করতে হবে। এইরকম প্রায় ৩৩ টা দাবি রয়েছে আগামী দিনের জন্য।
এই অনুষ্ঠানের প্রতিটা বক্তা বলেন ২০০৪ সালের আগে রেলের কর্মীদের পেনশন প্রদানের নিয়মে বদল এসেছে।এতে কর্মীদের স্বার্থ সুরক্ষিত নয়। ওল্ড পেনশন যে স্কিম ছিল সেই স্কিম আবার চালু করার দাবিতে এবং বিভিন্ন পদে কর্মী নিয়োগ দাবি ওঠে।