Select Language

[gtranslate]
৯ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার ২৫শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভারতের অন্তরীক্ষ গবেষণার জনক বিক্রম সারাভাইকে জন্ম দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলী ।

আমেরিকার নাসা-সহ বিশ্বের বাকি উন্নত দেশগুলির মহাকাশ গবেষণা সংস্থাকে টেক্কা দিয়েছে ইসরো। বীরবিক্রমে রোভার ‘প্রজ্ঞান’কে নিয়ে চাঁদের উদ্দেশে সফল পাড়ি দিয়েছিলো ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। এই ‘জায়ান্ট লিপ’-এর মধ্যে দিয়ে ইসরো শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করল তার মানসপিতা, বিক্রম সারাভাইকে। তাঁর নামেই ল্যান্ডারের নামকরণ করা হয়েছিলো।

১৯১৯ সালের ১২ আগষ্ট আহমেদাবাদে জন্ম গ্রহন করেন বিক্রম আম্বালাল সারাভাই। তিনি গুজরাট কলেজে পড়াশোনা করেন , পরে ১৯৪০ সালে ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান , সেখানে তিনি প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের উপরে পড়াশুনা করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তাকে ভারতে ফিরে আসতে বাধ্য করে, ভারতে তিনি পদার্থবিদ স্যার চন্দ্রশেখরের অধীনে মহাজাগতিক রশ্মি নিয়ে গবেষণা করেন।১৯৪৫ সালে তিনি ডক্টরেট করার জন্য ফের কেমব্রিজে ফিরে আসেন এবং ১৯৪৭ সালে “কসমিক রে ইনভেস্টিগেশনস ইন ট্রপিক্যাল অক্ষাংশ” নামে একটি থিসিস লেখেন।

ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানের আঁতুড়ঘর বলে পরিচিত ‘ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি’ ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিক্রম। এই সংস্থা-ই ইসরোর পূর্বসূরি। পাশাপাশি আরও বহু সংস্থার জন্মলগ্ন থেকে জড়িয়ে আছে বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাইয়ের নাম। নেহরু ফাউন্ডেশন ফর ডেভলপমেন্ট, আইআইএম, ভ্যারিয়েবল এনার্জি সাইক্লোট্রোন প্রজেক্ট, ইলেকট্রনিক কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড-সহ আরও বহু সংস্থার প্রাণপুরুষ ছিলেন সারাভাই।

১৯৭৫ সালে রুশ কসমোড্রোম থেকে সফল উৎক্ষেপণ হয় ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘আর্যভট্ট’-র। এই সাফল্যে যাঁর অবদান অগ্রগণ্য, সেই বিক্রম সারাভাই কিন্তু এই দিনটি দেখে যেতে পারেননি। ১৯৭১ সালে মাত্র ৫২ বছর বয়সে মৃত্যু হয় এই বিজ্ঞানসাধকের। বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীদের মধ্যে অনেকেরই অভিমত, তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না।

সারাভাই ভারতের দুটি সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত হন। ১৯৬৬ সালে পদ্মভূষণ এবং ১৯৭২ সালে মরণোত্তর পদ্মবিভূষণ পান।

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রাণপুরুষ তথা ভারতের অন্তরীক্ষ গবেষণার জনক বিক্রম আম্বালাল সারাভাইকে এখন সংবাদ পরিবার তাঁর জন্মদিনে জানায় শত কোটি প্রণাম

ekhansangbad
Author: ekhansangbad

Related News