ইন্দ্রজিৎ আইচ :- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে স্বচ্ছ ভারত অভিযান। একইভাবে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই কাজে এগিয়ে এসেছে যুবক যুবতীরাও। এনডিএ সরকারের আমলেই তৈরি হয়েছে নতুন শিক্ষা নীতি। ভারতবর্ষের এই সমস্ত উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখতে কলকাতায় এলেন জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্প সংস্থার ২১ জন সদস্যের এক প্রতিনিধি দল।
জাপান সোসাইটি অফ মেটিরিয়াল সাইকেল এন্ড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের উদ্যোগে
রবিবার এই প্রতিনিধিদল কলকাতায় এসে পৌঁছান। কলকাতায় তাদের স্বাগত জানান মূল উদ্যোক্তা ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অফ ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট এয়ার এন্ড ওয়াটার ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা।
জাপান থেকে আগত এই প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিল্প সংস্থা, আবাসন ও অন্যান্য জায়গা পরিদর্শন করবেন।
সোমবার সকাল থেকে
টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ, সাউথ সিটি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এবং দ্য হেরিটেজ স্কুল পরিদর্শন করে সেখানকার শিক্ষা পদ্ধতি খতিয়ে দেখেন।শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সেমিনার হলে ইন্দো-জাপান গবেষণা ও একাডেমিক সহযোগিতা বিষয়ক এক আলোচনাসভায় অংশ নেন।
সেখানে একাডেমিক ইনস্টিটিউট, শিল্প এবং গ্রাম স্তরের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দুই দেশের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।
মূল উদ্যোক্তা অধ্যাপক ড: সাধন কুমার ঘোষ বলেন,
স্বচ্ছ ভারত আভিযানের মাধ্যমে ২০১৪ সাল থেকে ভারতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বহু কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর থেকে ভারতবর্ষে শুরু হয় স্বচ্ছ ভারত অভিযান। যেখানে ৬২ টি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এবং ৯১টি শহর সহ গঙ্গা নদী তীরবর্তী ৪,৩৫৪ টিরও বেশি শহর এই অভিযানে অংশ নেয়।
এর পাশাপাশি সম্প্রতি নতুন শিক্ষানীতি চালু হওয়ার ফলে ভারতে স্কুল ছুট ছাত্রছাত্রীর সংখা কমতে শুরু করেছে। ভারতের এই নতুন শিক্ষা নীতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি দীর্ঘ মেয়াদী শিল্প এবং গ্রাম উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি পর্যালোচনা করে দেখতে ২১ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত এই জাপানী প্রতিনিধিদল শহর পরিদর্শন করছেন।
তিনি বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, টেঁকসই উন্নয়ন এবং প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার, পৌরসভাগুলির কঠিন বর্জ্য, ই-বর্জ্য এবং দুর্যোগ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহ বিভিন্ন বিষয়ে দুই দেশের সহযোগিতার মাধ্যমে কিভাবে গবেষণার কাজ আরো বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এবং টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটির সাথে সমঝোতাপত্র(মউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
ইন্দো-জাপান প্রতিনিধিদলের জাপানি দলের নেতা অধ্যাপক ডক্টর মিসুজু আসারি বলেন, ভারত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নতি করে চলেছে এবং আরো উন্নতিতে নানা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
আমরা এ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে ভারতের এই সাফল্য বুঝতে চাই। ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অফ ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, এয়ার অ্যান্ড ওয়াটার (ISWMAW) এর সহায়তায় ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে আর কি ধরনের সহযোগিতামূলক সমঝোতা করা যায় সেগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অমিত কর্মকার, অধ্যাপক হিমাদ্রি চট্টপাধ্যায়,
কিয়োটো ইউনিভার্সিটি, জাপান ইন্ডাস্ট্রিজ, টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি, হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এবং আইএসডব্লিউএমএডব্লিউ এর গবেষকরা।