পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উত্তর কাঁটাল গ্রামের বাসিন্দা পীযুষ পট্টনায়েক।
বছর একত্রিশের পীযূষ ২০১৫ সালে ইসরো’তে যোগ দেন। তিনি চন্দ্রযান-২ অভিযানের সময়ও যানের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন। এবার সেই একই দায়িত্ব পালন করেছেন এবং যানের সফল অবতরণের পরে গর্ব বোধ করছেন বলে জানাম।
রাধাকান্ত পট্টনায়ক বলেন দেশবাসী হিসাবে গর্ব বোধ করছি। আর নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। কারণ, এরকম একটি সফল মহাকাশ অভিযানের শরিক আমার ছেলে।
প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা পীযূষ পট্টনায়েকের বাবা রাধাকান্ত পট্টনায়ক পেশায় ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সেচ দপ্তরের কর্মচারী,মা অনিমা গৃহবধূ। ছেলের কাজে উচ্ছ্বসিত বাবা-মা’ও।বেঙ্গালুরুতে স্ত্রী ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে থাকেন পীযূষ। ছোটবেলা থেকেই যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠে পীযুষ।
২০০৯ সালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্রাটলি বাট হাইস্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে।এরপর কল্যানী সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংএ বি.টেক পাশ করে।২০১৩ সালে খড়্গপুর আই আই টি কলেজ থেকে এম.টেক পাশ করে যোগ দেন ইসরোতে,। চন্দ্রযান ২ ও ৩ এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ছিল এই বিজ্ঞানীর হাতে।
পীযূষের স্ত্রী ঐন্দ্রিলা বলেন,চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের পর থেকে দিনে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা করে কন্ট্রোল রুমে থেকেছেন আমার স্বামী। এ দিন ভোর সাড়ে ৫ টায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। বিজ্ঞানীদের কঠোর পরিশ্রম সফল হয়েছে। এ আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।