প্রায় ৫ কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগে সাত সকালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডির হানা। আর এর জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ।
গত ২০১৮ সালে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার রামচন্দ্রপুর পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার ছিলেন পাঁশকুড়ার বাসিন্দা লক্ষণ হেমব্রম। সেই পোস্ট অফিসে থাকাকালীন প্রায় ৫ কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ আসে তাঁর বিরুদ্ধে। যার ফলে ময়নার ওই পোস্ট অফিস থেকে স্থানান্তরিত করা হয় কোলাঘাট নতুন বাজার পোস্ট অফিসে। ২০১৯ সালে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয় কোলাঘাট নতুন বাজার পোস্ট অফিস থেকে। রামচন্দ্রপুরে পোস্টমাস্টার থাকাকালীন তার নামে অভিযোগ হলে ২০১৯ সালে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও তারপর জামিনে ছাড়া পায় লক্ষন হেমব্রম।
এই তছরূপের মামলায় চার বছরের মাথায় ইডি ডেকে পাঠায় তাঁকে জানিয়েছেন লক্ষণ হেমব্রম। তারমধ্যেই মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা লক্ষণ হেমব্রম এর বাড়িতে আসে ইডির ৬ জনের টিম। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১২ ঘন্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ এবং ঘর তল্লাশি।
এই লক্ষণ হেমব্রমের আদি বাড়ি পাঁশকুড়ায় নস্করদিঘীতে, সেখান থেকেই কয়েক বছর আগে পাঁশকুড়া পৌরসভায় জায়গা কিনে প্রাসাদসমান বাড়ি তৈরি করেন তিনি।
ছেলে মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে সংসার লক্ষণ বাবুর। জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে যাওয়ার সময় এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়নি ইডি। সোজা গাড়িতে উঠে ফিরে যান তারা। তবে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ফের লক্ষন হেমব্রমকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকেছে ইডি।
এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।