ইন্দ্রজিৎ আইচ:- ডাঃ. দেবাশিস ঘোষ এবং অনিন্দিতা গুহের গবেষণায় দেখা গেছে আমাদের রক্তে যে রাসায়নিকগুলি মনের চাপ বা স্ট্রেসের সাথে যুক্ত তা কি ভাবে মিলে মিশে কাজ করে। ডাক্তার
দেবাশিস ঘোষ আজ প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন”প্লেটলেট সেরোটোনিন স্তর: মানব আচরণের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা স্ট্রেস প্রতিক্রিয়া এবং সাইকোট্রপিক ওষুধের নির্বাচনকে তুলে ধরে।
সেরোটনিন ও ডোপামিন,এই দুটি রাসায়নিক মনের চাপে একই সাথে কাজ করে। সেরোটনিন বাড়লে ডোপামিন কমে , আবার সেরোটনিন কমলে ডোপামিন বাড়ে।
আগে, মানুষের ধারণা ছিল এই রাসায়নিকগুলি জন্ম থেকেই একই থাকে, তবে গবেষণায় দেখা গেছে মানসিক চাপে সেরোটনিনের বাড়া বা কমা হয় ।
গবেষণায় মানুষের চাপের পরিবর্তন লক্ষ্য করে তাদের আলাদা আলাদা ভাবে গোষ্ঠীভুক্ত করে তাদের সেরোটনিন পরীক্ষা করা হয়।
সেরোটোনিন বা ডোপামিন কম বেশি থাকার কারণে সকল শারীরিক , মানসিক ও সামাজিক সমস্যার শুরু।
সবচাইতে ভালো খবর হল যে আমরা এখন রক্তে প্লেটিলেট সেরোটনিনের মাত্রা বিশিষ্ট পদ্ধতিতে ল্যাবে পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারছি। আজ কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে
প্রধান গবেষক ডক্টর দেবাশিস ঘোষ আরো বলেন, “এই রাসায়নিক পরীক্ষার মাধ্যমে আমাদের মানসিক চাপ বোঝা যায়। যেখানে চিকিৎসকেরা সঠিক চিকিৎসা বেছে নিতে পারবেন ও অপ্রয়োজনীয় ওষুধ কম ব্যবহার করতে হবে।