প্রদীপ কুমার সিংহ :- কলাকান্তি একটি থিয়েটার গ্রুপ। বহুদিন ধরেই এই থিয়েটার গ্রুপ নাটক পরিষেবা দিয়ে আসছে। বহু থিয়েটার হলে বহু নাটক মঞ্চস্থ করে দর্শকদের প্রশংসা করিয়েছে।
সামাজিক নাটক,হাসির নাটক অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছে এই নাটকের গ্রুপটি। সম্প্রতি একটি নাটক করে কলকাতা তপন থিয়েটার হলে। নাটকটির নাম সাড়ে চুয়াত্তর। এই নাটকটি বিভিন্ন হলে বহুবার মঞ্চস্থ হয়। নাটকটি হাসির নাটক। মানুষ এখন হাসতে ভুলে গেছে তাই কলাক্রান্তি গ্রুপ থেকে এই নাটকটি মঞ্চস্থ হয় মানুষ ক্ষণিকের জন্য কিছুটা হাসে। ১৯৫৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত নির্মল দে পরিচালিত বাংলা ছায়াছবি সাড়ে চুয়াত্তর দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছিল। অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সংলাপ ছিল “মাসিমা মালপোয়া খামু” এই সংলাপটি এখনো মানুষের মনে অনেকেরই দাগ কাটে। বিজন ভট্টাচার্য এমন জম জমাটি হাসির নাটক মঞ্চস্থ করা সত্যিই বুকের পাঠার দরকার। জেটি কলাক্রান্তি গ্রুপ বারবার করছে। বিজন ভট্টাচার্যের কাহিনীটি নাট্যরূপ দিয়েছেন রত্না ঘোষাল।
পরিচালনায়, মঞ্চে ভাবনায় ও সংগীত হাভয়ায় অনিমেষ কান্তি ঘোষাল। সহ পরিচালক ছিলেন জয়ক গুপ্ত। কলকাতার একটি বোর্ডিং ছিল ” অন্নপূর্ণা বোর্ডিং হাউস” সেখানে যুবক ও বৃদ্ধ সবই পুরুষের আবাসিক ছিল।
বিপদে পড়ে সেখানে এসে হাজির হয়েছে অঘোর, পদ্মা ও তাদের কলেজ পড়ুয়া সুন্দর যুবতী কন্যা রমলা। যেহেতু অন্নপূর্ণা বোর্ডিং হাউস পুরুষদের বোর্ডিং সেই জন্য অঘোর ,পদ্মা, রমলাকে নিয়ে দ্বন্দ বাদে বোডিংয়ের মালিক রজনী বাবুর সঙ্গে ও আবাসিকের মধ্যে প্রথম দিকে। পরে বোডাররা মানিয়ে নেয়। একটি চিঠিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের দাম্পত্য জীবনে ফাটল ধরে রজনী বাবু ও তার স্ত্রী বকুল দেবীর সঙ্গে। আবার এর মধ্যেই রাম প্রীতি এবং রমলার ও চাকর চাকরানী মদন ও তারার মধ্যে প্রেম হয়। হাসি-কান্না, ঝগড়া ঝাঁটি করে শেষ পর্যন্ত দুটি জুটির মধ্যে মালা বদলের মাধ্যমে নাটকটির মধুরেন ও সমাপয়েত । কলাক্রান্তি এই নাটকের সমস্ত অভিনেতা দুর্ধর্ষ অভিনয় করে দর্শকদের হাতে তালি ও হাসি ফুটিয়েছে।
এক কথা বলা যায় অভিনেতাদের টিমওয়ার্ক অসাধারণ ছিল।
এই নাটকটি অভিনয় করেছে অশোক ব্যানার্জি (রজনী বাবু), অঞ্জলি (বকুল) জয়ক গুপ্ত (রামপ্রীতি ), সুব্রত ভৌমিক (শিববাবু), রাহুল পাল (কেদার), উৎপল পাল (হরিদাস), তাপস নন্দী (কামাক্ষা), প্রদীপ কুমার সিংহ (কানাই ) সুমনা (রমলা), রিতা (সখি),সুদীপ্ত (অঘর বাবু),মঞ্জুরি ( পদ্মা) নিলয় গৌতম (অখিল) প্রত্যেক অভিনেতাই নিজে নিজে চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন। পরিচালকের নিজস্ব ভাবনায় তৈরি মদন ও তারার প্রেম যা দর্শকদের আলাদা পাওনা । মদনের চরিত্রে অভিনয় করেছে ইরফান আলী বিশ্বাস তারা চরিত্রে সুপর্ণা বসু দর্শকদের মন অনবদ্য লেগেছে ।