তিন বছর আগে বাড়ি থেকে আচমকা হারিয়ে গিয়েছিলো নাবালিকা,সেই মেয়ে উদ্ধার হল সৈকত শহর মান্দারমনিতে।খুশী পরিবার।
ছোট্ট অপর্নার বাড়ী মহিষাদল থানার কেশবপুর গ্রামে।সুন্দর স্বাভাবিক মেধাবী মেয়ে ছিল অপর্না। মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পর হঠাৎ করেই মাথার সমস্যা দেখা দেয়। প্রায় কথা বলা বন্ধ ও মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে বাড়ি থেকে এদিক সেদিক অন্যত্র চলে যেত সে।
এই নাবালিকার বাবা শ্যাম সুন্দর পাল জানিয়েছেন তখন মহামারি করোনার প্রকোপে আতংক সর্বত্র।তার মধ্যেই একদিন বাড়ি থেকে হারিয়ে যায় অপর্ণা।জানিয়েছেন বহু খোঁজাখুঁজি করেও মেয়ের কোন সন্ধান পায়নি।প্রায় হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম।তার মধ্যেই এক অজ্ঞাত পরিচয় ফোন থেকে কল করে জানানো হয় মেয়ে তাঁদের কাছে আছে। সেই সংবাদ পেয়ে আর আনন্দে বাড়িতে থাকতে পারিনি।
জানা গেছে কোন ভাবে ঘুরতে ঘুরতে রামনগরের তালগাছড়ি দুই অঞ্চলের অন্তর্গত চাঁদপুরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাকে পাওয়া যায়।সেখানকার বাসিন্দারাই তাকে দুই বেলা খাওয়ার দিতো।তাঁরা জানিয়েছেন বহুবার জিজ্ঞাসা করলেও নিজের ঠিকানা জানাতে পারেনি এই মানসিক ভারসাম্যহীন নাবালিকা।একদিন তাকে লিখতে দিলে সে তার বাড়ির ঠিকানা লিখে দেয়। তারপরেই স্থানীয়রা যোগাযোগ করে মহিষাদলে মেয়েটির গ্রামে।
মানসিক ভারসাম্যহীন এই নাবালিকার মা অনিতা পাল বলেন মেয়ের খবরব পেয়ে ভগবানকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।মান্দারমনি থানা এলাকার বাসিন্দা এই মানুষদেরকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।বলেন আর্থিক অনটনের কারনে মেয়ের সঠিক ভাবে চিকিৎস্যা করাতে পারেন নি।তার মধ্যে যে মেয়ে এই ভাবে নিখোঁজ হয়ে যাবে ভাবতে পারেন নি।
তালগাছাড়িতে এসে এই নাবালিকাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গেল পরিবারের লোকেরা।তাদের মত নিজের পরিচিত লোকেদের পাশে পেয়ে খুশী অপর্নাও