Select Language

[gtranslate]
১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কিষাণ মান্ডিতে ধান কেনা শুরু ।

প্রদীপ কুমার সিংহ :- কৃষক বন্ধুদের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হয়েছে কিছুদিন আগে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর থানার অন্তর্গত বারুইপুর সীতাকুণ্ডর কাছে কিষাণমন্ডিতে কৃষক বন্ধুদের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ২৪০ থেকে ২৬০ কুইন্টাল ধান কেনা হয় কৃষক বন্ধুদের কাছ থেকে। এ কিষান মান্ডির এক আধিকারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় বারুইপুর মহকুমা অঞ্চলের কৃষক বন্ধুদের কাছ থেকে এই ধান কেনা হয়। ধান কৃষকদের কাছ থেকেই কেনা হয়, কোন দালাল বা ফোরের মাধ্যমে ধান কেনা হয় না।


এ বছরের সরকার ধানের রেট করে দিয়েছে প্রতি কুইন্টাল পিছু ২১৮৩ টাকা ২০ টাকা কুইন্টাল পিছু দেয়া হয় গাড়ি ভাড়ার জন্য কৃষক বন্ধুদের। তবে আরেকটা সুবিধা করেছে সরকার আগে প্রতিকুইন্টাল বস্তার মধ্যে বাদ হতো ৫ কিলো থেকে ৭ কিলো ধান। কিন্তু এ বছরে ধানের বস্তা থেকে কোন বাদ দেওয়া হচ্ছে না।
যেসব কৃষক বন্ধুরা সরকারি খাতায় তাদের নাম লিখিয়েছে তাদের এই এই ধান নেওয়া হয়। আর যারা মালিকের কাছ থেকে জমি নিয়ে চাষ করে এইসব ভাগ চাষীর ও ধান নেওয়া হয়। তবে তাদের সরকারের কাছে আবেদন করতে হয়। সেই আবেদন করলে ২০ কুইন্টালে বেশি ধান নেওয়া হয় না তাদের কাছ থেকে। আবার যেসব কৃষক বন্ধুদের নিজেদের জমি আছে তারা প্রথমে ৩০ কুইন্টাল পর্যন্ত ধান দিতে পারবে।তারপরে ধান দিতে গেলে তা সরকারের কাছে তার জমির পরিমাণ জানাতে হবে।সরকারের আধিকারিক সেই জমি সরজমিনে তদন্ত করবে। তারপর তার কাছ থেকে ধান কেনা হবে। যেসব কৃষক বন্ধুরা ধান বেচতে আসেন তাদের আগে আঙ্গুলের বায়োমেট্রিক নেওয়া হয় তারপর তাদের ধান মাপা হয় এবং তাদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেয় সরকার।
তবে এ বছরের সরকার ধান নেওয়ার জন্য যেসব নিয়মাবলী বার করেছে তার জন্যই কৃষকের বন্ধুরা খুবই খুশি হয়েছেন।
বেশ কয়েকজন কৃষক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তারা নিজেরাই ধান ভীষণ মান্ডিতে নিয়ে আসে এবং নিজেরাই ওজন করে তাদের ধান সরকারের কাছে বিক্রি করে।
ওই আধিকারিক আরো বলেন ধান এখান থেকে নিয়ে গাড়ি করে সোজা চালের মিলে পাঠানো হয় সেখান থেকে ধান থেকে চাল বার করে সরকারে গোডাউনে পাঠানো হয়। তবে বারুইপুর কিষাণ মান্ডি থেকে যেসব ধান কেনা হয় সেই গোলে আমতলা একটি রাইস মিলে পাঠানো হয়।
এই ধান ডিসেম্বর মাস থেকে আগামী বছর সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত কেনা হবে।

ekhansangbad
Author: ekhansangbad

Related News

Also Read