হোটেলে আটকে রেখে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগ খোদ স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ দায়ের হলো শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়ার ভবানীপুর থানায়। অভিযোগ হলদিয়ার দেভোগের স্বামীহারা অসহায় এক মহিলা যখন একটি পুত্র সন্তানকে নিয়ে বসবাস করছিলেন।এমন সময় নন্দীগ্রাম থানার হরিপুরের জামতাড়া গ্রামের বাসিন্দা এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হয়। ওই মহিলাকে অসহায়তার হাত থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেয়। পরে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন বলে মহিলা অভিযোগ। ওই ব্যক্তি তার পুত্র সন্তানেরও দায়িত্ব নেবেন বলে বলেন। সেই মত মহিলার সঙ্গে বিয়ে হয়। কিছুদিন পর ওই মহিলাকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করে। শুধু তাই নয় মোবাইলে তার অসংলগ্ন ছবি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয় বলে অভিযোগ। বর্তমান এই ঘটনার পর ওই মহিলার সমাজে মুখ দেখানো ভার হয়ে উঠেছে। ওই মহিলা বাধ্য হয়ে নিজের নিরাপত্তার কারণে ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। সে আরো অভিযোগ করে বলে তার দ্বিতীয় স্বামী তাকে মহিষাদলের কাপাস এড়িয়া এলাকার একটি হোটেলে আটকে রেখে দিনের পর দিন দেহ ব্যবসায় বাধ্য করায়।
মহিলা জানিয়েছে তার প্রথম স্বামী হঠাৎ করে মৃত্যু হয়ে যাওয়ায় অসহায়তার সঙ্গে বিশু পুত্র কে নিয়ে বসবাস করছিল। সেই সুযোগ নিয়ে ব্যক্তি অর্থাৎ দ্বিতীয় স্বামী তাকে বিয়ে করে। তারপর থেকেই চলে মানসিক এবং দৈহিক অত্যাচার। ওই মহিলা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে বলে অভিযোগ। ভবানীপুর থানার পুলিশ অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।