প্রদীপ কুমার সিংহ :- বারুইপুরে তৃণমূল কর্মীর উপরে হামলার ঘটনায় দুইজন গ্রেপ্তার করে।বারুইপুরে তৃণমূল কর্মী সইদুল মোল্লার উপরে হামলার ঘটনায় বারুইপুর থানার অন্তত বেলেগেছি অঞ্চলে। পুলিস দুই অভিযুক্ত কে গ্রেপ্তার করল। এদিকে, আহত তৃণমূল কর্মী বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিস জানিয়েছে, পুলিশ সূত্রে খবরের মধ্যে একজনের নাম সুমল সরকার, ও আরেক জনের নাম গোলক সরদার।এদের বাড়ি একই অঞ্চলে।ঘটনার সময় বাইকে সে ছিল বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের এদিন বারুইপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে, অভিযুক্ত গোলক ও সুমল বিজেপি কর্মী বলে দাবি করেছেন আহত তৃণমূল কর্মীর ভাই মৈদুল মোল্লা। তিনি বলেন, গোলক ও সুমন বিজেপি করলেও তৃণমূল এর যুব সভাপতি কারিমুল্লার ছত্রছায়ায় রয়েছে। যদিও বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। প্রসঙ্গত, সোমবার মাঠে কাজ সেরে বাইক চেপে বাড়ি ফেরার পথে বেলেগাছি পঞ্চায়েতের চারু মেডিকেল হলের কাছে তৃণমূল কর্মী সইদুল মোল্লা কে বাইক থেকে নামিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের অভিযোগ উঠেছিল চার দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। তাঁর কোমরে হাতে এবং মাথায় আঘাত লেগেছিল।
স্থানীয় বাসিন্দারা সঙ্গে সঙ্গে বাড়িপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে তাকে। সেখানে তার চিকিৎসা চলে। মইদুল সরদার সাংবাদিকদের বলেন তিনি কাজ সেরে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম তখন বেলেগাছি চারু মেডিকেলের রাস্তার পাশ থেকে যাচ্ছিল তখন একটি বাম্পারের কাছে গাড়ি স্লো করলে তখন ওরা এসে ওই দুজনে এসে হামলা করে। এমনকি বন্দুক নিয়ে উঠিয়ে আসলে সঙ্গে সঙ্গে মইদুল সেই বন্দুক দিয়ে ধরে ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় হাতে কোমড়ে আঘাত করে। সে মাটিতে লুটিয়ে পরে। সঙ্গে তাকে ধরে হাসপাতালে নিয়ে আসে। সে এখন বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা ধীন রয়েছে। তে বারুইপুর থানা পুলিশ প্রথমে সুমল সরকারকে গ্রেফতার করে ওপরে আজ সকালে গোলক সর্দারকে গ্রেফতার করে। বারুইপুর থানার পক্ষ থেকে তাদেরকে মহাকুমা আদালতে আজ পেশ করা হলে দ্বিতীয় ব্যক্তিদের ৫ দিনে পুলিশি হেফাজতে থাকা নির্দেশ দেন।
তবে এই ব্যাপারে এলাকার কিছু লোক তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বললেও এলাকার বিধায়ক বারুইপুর পৌর বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক বিভাগ সরদার কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন বিজেপি কর্মীরা তার ওপর আক্রমণ করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কোন গোষ্ঠ সেখানে নেই।