Select Language

[gtranslate]
১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বুধবার ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মৎস্যজীবীদের জন্য সমুদ্র সাথী প্রকল্প চালু করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠান রামনগরে।

আমাদের দাদুর আমলের মৎস্য চাষ করলে চলবে না। আমাদের বাঁচার জন্য মৎস্য চাষ করতে হবে। তার জন্যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং পদ্ধতি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। মৎস্য চাষ এর মাধ্যমে জীবিকা ও কর্মসংস্থান করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে। বৃহস্পতিবার এই কথাগুলি বলেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী। রাজ্য সরকারের মৎস্যজীবীদের জন্য সমুদ্র সাথী প্রকল্প চালু করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও মৎস্যজীবী সমবায়ীদের সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে মৎস্য মন্ত্রী এই কথাগুলি বলেন।বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো রামনগর দুই ব্লকের কালিন্দী গ্রাম পঞ্চায়েতের নিউ জলধা খটিতে। এই সম্মেলন কাঁথি কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী সমবায়ের সভাপতি লক্ষীনারায়ণ জানার আহবানে অনুষ্ঠিত হয়। মৎস্য মন্ত্রী আরো বলেন সমবায় করলে হবে না মাছ চাষের ও সমবায় বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে কর্মসংস্থান করতে হবে।

রাজ্যের কর্মসংস্থান নেই। সেই কারণে মাছ চাষকেই অবলম্বন করতে হবে। রাজ্যকে মৎস্য চাষে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন জুনপুটের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র হলে মৎস্যজীবীদের ক্ষতি হবে না। মৎস্য খুটি গুলির সঙ্গে বনদপ্তরের যে সমস্যা রয়েছে তা মিটিয়ে ফেলার জন্য তিনি উদ্যোগী হবেন। তিনি আরো বলেন খোকা ইলিশ স্থানীয় লোকেরা বলেন মোবাইল ইলিশ ধরা বন্ধ করতে হবে। মাছ ধরা দুমাস বন্ধ থাকলে মৎস্যজীবীদের সংসার চালানো খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। সেই কারণে মৎস্যজীবীরা জানিয়েছিলেন যে এই ব্যান পিরিয়ড পেট চলবেনা কি করে। মাছ ধরা বন্ধ হয়ে গেলে তারা খাবে কি। তার উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৎস্যজীবীদের জন্য মানবিক চিন্তাধারায় সমুদ্র সাথী প্রকল্প চালু করলেন। যে দু মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকবে সেই সময় প্রতিমাসে পাঁচ হাজার করে টাকা মৎস্যজীবীদের দেওয়া হবে। এই প্রকল্প ঘোষণা করার পরেই মৎস্যজীবীরা উৎসাহিত হয়। এজন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানান। এই সভায় সভাপতিত্ব করেন বর্ষিয়ান সমবায়ী ও সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ইউনিয়নের ডাইরেক্টর এবং কাঁথি সমবায় ইউনিয়নের সহ-সভাপতি গোলকেশ নন্দগোস্বামী। উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ তরুণ কুমার জানা, খাদ্য ও সরবরাহ কর্মাধ্যক্ষ তমাল তরু দাস মহাপাত্র, কাঁথি সমবায় ইউনিয়নের ডাইরেক্টর ও বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের সম্পাদক দীনেশ প্রধান, রামনগর মার্কেটিং সোসাইটির সভাপতি কেশব কৃষ্ণ দাস, বলাগাড়িয়া সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের সহ-সভাপতি পার্থ সারথি দাস, এডিএফ সৌরেন্দ্র নাথ জানা, এডিএফ নোনা জল নীলোৎপল কয়াল, স্থানীয় মৎস্যজীবীদের মধ্যে নবাব উদ্দিন, পঞ্চায়েত সদস্য শেক রিয়াজুল, , হাজিমুদ্দিন, কাঁথি কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী সমবায় এর সহ-সভাপতি অশ্বিনী বর, পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সদস্যা স্নেহলতা জানা, সবিতা পন্ডা, সহ অন্যান্য মৎস্যজীবী সংগঠনের নেতৃত্ব। নিউ জলধাল মৎস্য খটির সম্পাদক ও কাঁথি কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী সমবায় এর সভাপতি ও কাঁথি মহকুমা মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক লক্ষীনারায়ণ জানা মৎস্যজীবীদের উন্নয়নের লড়াই আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরেন। এছাড়াও এই এলাকা কতটা পিছিয়ে পড়া অবস্থায় ছিল তার ইতিহাস ও তুলে ধরেন। মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকার ক্ষেত্রে নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন মন্ত্রীর সামনে। এদিন লক্ষী বাবুর তুলে ধরা মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন সমস্যাকে সমর্থন জানান উপস্থিত সমস্ত মৎস্যজীবী ও মৎস্যজীবী সমবায়ের প্রতিনিধিবৃন্দ । মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করার আশ্বাস দেন মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী। সবশেষে সবার সভাপতি গোলকস নন্দ গোস্বামী সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

ekhansangbad
Author: ekhansangbad

Related News

Also Read