অভিনব কায়দায় এটিএম জালিয়াতি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লো প্রতারক যুবক। মঙ্গলবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর থানার বালিসাইয়ের কাছে পানিপারুল মোড় সংলগ্ন এলাকায় পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়ে টাকা বের হয়নি কিন্তু টাকা তোলার রশিদ বেরিয়ে আসে। এইভাবে পাঁচ হাজার টাকা করে দুবার এটিএম কার্ড পাঞ্চ করেও টাকা তুলতে সক্ষম হয়নি বড়রাংকুয়া গ্রামের অংশুমান পন্ডা। এটিএম এ টাকা বেরোনোর জায়গায় নাড়ানাড়ি করতে বেরিয়ে আসে একটি রাবারের বেল্ট। সেটি টেনে বার করে নেওয়ার পর টাকা পাওয়া যায়। সন্দেহ হয় কোন এক প্রতারক এই কাজ করেছে। বাইরে এক যুবক মুখে মাক্স লাগিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল। সন্দেহ হয় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অস্বীকার করে। তখন তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু তার চালন বলনে সন্দেহ হয়। তাকে আটক করে স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেয় রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দীপক সার কে।তিনি রামনগর থানায় খবর দেন।
খবর পেই ছুটে যায় পুলিশ বাহিনী। স্থানীয়রা আটক হওয়া যুবককে পরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্বীকার করে। ইউটিউব এর মাধ্যমে জালিয়াতি শিখে প্রথমে কাঁথিতে এবং পরে রামনগরে দ্বিতীয়বার এই কাজটি করেছে। স্থানীয়রা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এর সঙ্গে অন্য কেউ যুক্ত আছে কিনা। জানা গেছে এগরা থানার কিউটগেরিয়া গ্রামের বাসিন্দা তাপস দাস। এভাবে প্রতারিত হয়েছিল নহরিয়া গ্রামের উমেশ চন্দ্র বেরা। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। তাপস জানিয়েছে দীঘায় একটি হোটেলে কাজ করতো। সেই কাজ সে ছেড়ে দিয়েছে। বাড়িতে বাবা, মা, দাদা, বৌদি ও তার স্ত্রী আছে। তার সঙ্গে আর কেউ যুক্ত নেই। দীপক সার পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছেন সমস্যায় পড়লে থানায় যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছেন।