Select Language

[gtranslate]
১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নিমতৌড়ির সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে নাম না করে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী ।

“চোরের মায়ের বড় গলা। পকেটমার বাসে উঠলে সেই প্রথম চিৎকার করে। যখন চিৎকার করে অন্যরা উঠে দাঁড়ায় তখন পকেটমার পালিয়ে যায়। সবচেয়ে বড় পকেটমারি স্কুল এডুকেশনে কে করেছে? কার বিনিময়ে চাকরি হয়েছিল? কীসের বিনিময়ে চাকরি হয়েছিল? খবর আমিও রাখি।”পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের নিমতৌড়ির সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে নাম না করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধেই তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুললেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ, “সাধুগিরি বের করবই।”

সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভামঞ্চে বক্তৃতা করার সময় সেই নন্দীগ্রাম বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ টানলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামের মামলাটা এখনও বিচারাধীন। আড়াই বছর হয়ে গেল কোর্টে মামলাটা পড়ে রয়েছে। কী হয়েছে না-হয়েছে, এর উত্তর মানুষ একদিন দেবেনই।’’ এদিন রিমোট টিপে ৪৯৯টা প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী

মমতা বলেন নির্বাচন এলে দিল্লী থেকে লোক এসে বলে পানি বিজেপি দে রাহা হ্যায়,মকান বিজেপি দে রাহা হ্যায়।আর সত্যিটা হল
জায়গা, পাইপ লাইন, মেনটেনেন্স, সঙ্গে ৪৮ শতাংশ টাকা, সব মিলিয়ে ৭০ শতাংশ আমরা দিই
ওরা বলে নাকি ওরা করছে।
১১ লক্ষের বাড়ির মধ্যে ৫ লক্ষ পোঁছে গেছে।
১ হাজার কোটির বেশী ব্যায়ে জলপ্রকল্প হচ্ছে।
মহাত্মাগান্ধী বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে।মৎস্য চাষীদের জন্য অনেক কাজ হয়েছে।
হলদিয়ায় ১৭ হাজার কোটি বিনিয়োগ। ৩ বছরে
১ লক্ষ কর্মসংস্থান হলদিয়ায়।তাজপুর বন্দর ২৫ হাজার কোটি বিনিয়োগ, ২৫ হাজার চাকরী।
১ লক্ষ ১২ হাজার মানুষ কাজ করছে মৎস্য শিল্পে।
১৬১ কোটি ব্যায়ে দিঘার জগন্নাথ মন্দির দেখতে গেছেন কি?প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন পুরির মন্দিরের সমান উচ্চতায় মন্দির হচ্ছে।
দিঘাতেও সমূদ্র আছে,দিঘা গেট আলো দিয়ে সাজানো।বলেন
ঠাকুর এসে গেছে।আহ্বান জানান ইতিমধ্যে
পুরী গেলে দিঘাতেও একবার আসবেন।

মমতা বলেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে সৌমেন অনেকবার চেষ্টা করেছে,কেন্দ্র প্রকল্প বাদ দিয়ে দিল।বলেন
আমাদের টাকায় খাল সংস্কার করেছি।
ঘাটাল মাস্টার প্লয়ান আমরাই করে দেব। কেন্দ্রের কাছে হাত পাতব না।

লজ্জা করে না। যারা কাজ করে তাদেরই সমস্যায় ফেলে

রেলের সব কাজ আমি করেছি, এখন ওরা এসে বলছে আমরা করেছি।
হলদিয়া থেকে নন্দীগ্রাম ব্রীজ হবে, আমরাই করে দেব।এরপরেই বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন
নন্দীগ্রামের কেসটা এখনও বিচারাধীন আছে,
প্রায় আড়াই বছর হয়ে গেল ।কোর্টে মামলা টা পড়ে আছে
কি হয়েছে না হয়েছে এর উত্তর তো মানুষ একদিন দেবেই।
জোর করে গায়ের জোরে কাউকে খুন করে কাউকে লুঠ করে টাকার জোরে নিজে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে অন্যদের বলছে চোর
চোরের মায়ের বড় গলা।প্রশ্ন করেছেন
আপনারা পকেট মার দেখেছেন
যখন বাসে ঢোকে বা ট্রেনে ঢোকে যে পকেটমার পকেটমারি করে সেই প্রথমে পকেট মার পকেট মার বলে চিৎকার করে অন্যেরা উঠে দাঁড়ায়
তখন আসল পকেটমারটা পালিয়ে যায়
সব চেয়ে বড় পকেটমারি স্কুল এডুকেশানে কে করেছে,ভুলে গেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের লোক
কার বিনিময়ে চাকরীটা আপনার হয়েছিল, কিসের বিনিময়ে, খবর আমি রাখি
কিন্তু চাকরীটা আমি কারও যেতে দেব না।
ওরা চাকরী খায় আমি চাকরি দিই।তাই আমি কাউকে টাচ করছি না।
কিন্তু আজকে টাচ করছি না বলে মাথাকে আমি কোনওদিন টাচ করব না এই ব্যাপারে আমাকে বিশ্বাস করবেন না। ইলেকশান আসবে যাবে, মনে রাখবেন
গদ্দার বাবুরা সব থেকে বেশী খেয়েছে ।
আর লঙ্কাকান্ডের মতো সারা রাজ্যে আগুন লাগিয়ে দিয়ে গরিব ছেলেমেয়েদের চাকরী খেয়ে সাধু সাজছে ।
তাদের সাধুগিরি ছাড়িয়ে দেব ।

লক্ষীর ভান্ডার এপ্রিল থেকে এক হাজার পাবেন, কেন্দ্রের পাপের টাকা আমরা নিই না ।
লক্ষী ভান্ডারের
এই টাকা নিয়মিত থাকবে ।
আমরা থাকলে তবেই তো এটা চলতে থাকবে ।
নাকি যারা ইলেকশান এলেই পুলিশ পাঠিয়ে দেয়।
তারা এলে পাবেন ?

১০০ দিনের টাকা দেয়নি। অভিষেকরা দিল্লীতে গেল, ৫ মিনিট সময় দেয়নি।
৫৯ লক্ষ লোকের টাকা আমরা পৌঁছে দিয়েছি।
শষ্যবীমার টাকা আমরাই দিই ।
চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন আসুক না লড়াইটা সামনা সামনি হোক,এতো ভয় কেন।হারের ভয় থেকেই ইডি, সিবিআই পাঠাচ্ছে টাকা বন্ধ করে দিচ্ছে।শুভেন্দু অধিকারীর নাম না নিয়ে হুমকীর স্বরে বলেন ক্ষমতায় না থাকলে তোমাকেও মানুষ ছেড়ে কথা বলবে না

ekhansangbad
Author: ekhansangbad

Related News

Also Read