আসন্ন অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) রাজ্যের ৪২ টি কেন্দ্র সহ সারা দেশের ১৯ টি প্রদেশ ও ৩ টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলে মোট ১৫১ টি লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা জানিয়ে দলের সাধারন সম্পাদক প্রভাস ঘোষ ১৪ মার্চ কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রার্থীর নাম ঘোষনা করেছেন। যার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তমলুক কেন্দ্রে নারায়ণ চন্দ্র নায়ক প্রার্থী হিসাবে মনোনীত হয়েছেন। আজ ময়নাতে নারায়ণ চন্দ্র নায়কের সমর্থনে ময়নাতে একটি কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর হোগলাবাড়ি বাজার থেকে মল্লিক মোড় পর্যন্ত প্রার্থী র উপস্থিতিতে একটি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মীসভায় বক্তব্য রাখবেন, দলের পলিটব্যুরো সদস্য সৌমেন বসু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য অনুরূপা দাস, রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমল সাঁই, পূর্ব মেদিনীপুর উত্তর সাংগঠনিক জেলা কমিটির সম্পাদক প্রনব মাইতি,সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য চিন্ময় ঘোড়াই প্রমুখ। দলের পূর্ব মেদিনীপুর উত্তর সাংগঠনিক জেলা কমিটির সম্পাদক প্রনব মাইতি বলেন, নারায়ণ চন্দ্র নায়ক ছাত্রাবস্থায় দলের প্রতিষ্ঠাতা শিবদাস ঘোষের চিন্তাধারায় অনুপ্রানিত হয়ে দলের সাথে যুক্ত হন। বর্তমানে পার্টির সর্বক্ষনের কর্মী ও পূর্ব মেদিনীপুর উত্তর সাংগঠনিক জেলা কমিটির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য। যিনি পাঁশকুড়া বনমালী কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক হন। কোলাঘাট ব্লকের বৃন্দাবনচক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাঁকাডাঙ্গা গ্রামে বাড়ী হওয়ায় রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে ওই এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও জলনিকাশী সমস্যা সমাধানের দাবীতে দলমত নির্বিশেষে মানুষজনকে নিয়ে ‘কৃষক সংগ্রাম পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন গড়ে তুলে আন্দোলন শুরু করেন। ১৯৯৫ ও ১৯৯৭ সালে কংসাবতী সৃষ্ট কোলাঘাট ব্লকে ভয়াবহ বন্যার সময় বন্যার্তদের উদ্ধার-ত্রান-ক্ষতিগ্রস্ত ফুলচাষীদের ক্ষতিপূরণ প্রদান সহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। রাজনৈতিক জীবনের পরবর্তী সময়ে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রানঘাতী পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ, ব্লক এলাকার দেউলিয়া-খন্যাডিহি, সিদ্ধা-বৃন্দাবনচক, সিদ্ধা-পীতপুর সহ বিভিন্ন রাস্তা পিচ বা কংক্রিটের করা, এলাকায় চোলাই মদের ভাটি বন্ধ করা প্রভৃতি দাবীতে আন্দোলন গড়ে তোলেন। আরো পরে ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ীদের স্বার্থে ফুলবাজার সহ নানা সমস্যা সমাধানের দাবীতে রাজ্যগত আন্দোলন গড়ে তোলেন। অন্যদিকে জেলার হোসিয়ারী শ্রমিকদের মজুরী ও বোনাসবৃদ্ধি, জেলার রূপনারায়ন নদী ও সোয়াদিঘী খাল সহ বিভিন্ন নিকাশী খাল সংস্কার, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের মাধ্যমে দুই মেদিনীপুরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ, বাস চলাচলের নানান অব্যবস্থা দূরীকরণ প্রভৃতি দাবীতে গড়ে ওঠা আন্দোলনে নেতৃত্বকারী ভূমিকা পালন করেন।
কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের জনবিরোধী শিক্ষা-স্বাস্থ্য-বিদ্যুৎ-এ বেসরকারীকরন,দুর্নীতি, বেকার সমস্যা,নারী নির্যাতন এর বিরুদ্ধে ময়নার ঢেউভাঙ্গা সহ বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী পাম্পিং স্টেশন নির্মান, খাল ও স্লুইসগেটগুলি সংস্কারের দাবিতে নারায়ণ চন্দ্র নায়ককে ভোট দিয়ে জয়ী করার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদদাতা
সিদ্ধার্থ শংকর রায়