বিজেপির একতরফা অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যাবস্থা নিচ্ছে কমিশন।তৃনমূলের প্রমান সহ অভিযোগের বিষয়ে কোন ব্যাবস্থা নেই।আসলে বিজেপির তল্পিবাহক হয়েছে নির্বাচন কমিশন।সোমবার হলদিয়ায় তৃনমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার নির্বাচন কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে এসে দাবি করলেন তৃনমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দুটি লোকসভা আসন কাঁথি ও তমলুক।তমলুক আসনে তৃনমূলের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য।তার প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপির অভিজিৎ গাঙ্গুলী ও সিপিএমের সায়ন ব্যানার্জী।
তৃনমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান সৌমেন মহাপাত্র,নির্বাচনী পর্যবেক্ষ তথা রাজ্যের প্রাক্তন সেচ মন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জী,প্রাক্তন সমবায় মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর,এই লোকসভার অন্তর্গত চার তৃনমূল বিধায়ক সহ দলের সকল স্তরের পদাধিকারীরা এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার হলদিয়ায় সাংগঠনিক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কপ্টারে তল্লাশি বিতর্কে অভিষেক বলেন,হেলিকপ্টারে তল্লাশি ও সিজার নিয়ে আমার কোনও অসুবিধা নেই। সেটা নির্বাচন কমিশন করতে পারে। আমার অসুবিধা হচ্ছে যখন আপনি কিছু পাননি তখন বলছেন আমি ট্রায়াল রানের অনুমতি দেব না, যতক্ষণ না উপর থেকে ক্লিয়ারেন্স আসবে। সে এক্তিয়ার ইনকাম ট্যাক্সের নেই। আইনি পদক্ষেপ নেব।
এরপরেই নির্বচন কমিশনের আচরন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।তৃনমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারন সম্পাদক বলেন কয়েক দিন আগে জলপাইগুড়িতে এক বিজেপির এক নেতার গাড়ি থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে।নির্বাচন কমিশনের কোন হেলদোল নেই। বলেনেন আইএ-র এসপির বাড়িতে গিয়ে বিজেপি নেতা জীতেন্দ্র তেওয়ারীর দেখা করার ঘটনা অভিযোগ জানানোর পরেও কোন ব্যাবস্থা নেই।অথচ কোন প্রমান ছাড়াই বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে আধিকারিকদের বদল করছে কমিশন।
এরপরেই কার্যত হুশিয়ারির সুরে অভিষেক বলেন তল্পিবাহক নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে বিজেপি যা ইচ্ছা করুক।আপনাদের বলে রাখছি ২০২১ সালের থেকেও খারাপ রেজাল্ট হবে বিজেপির।