দীঘা পর্যটন শহরে প্রেমিকের আত্মহত্যা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ওল্ড দীঘার একটি হোটেল থেকে শনিবার বিকেলে দীঘা মোহনা থানায় ফোন যায়। খবর পেয়ে মোহনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে হোটেলের দরজা ভেঙে প্রেমিকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। বীরভূম জেলার ময়ূরেশ্বর থানার মন্ডলপাড়া থেকে বেড়াতে এসেছিল অরবিন্দ কোনাই (২২)ও পায়েল কোনাই। তারা ওল্ড দীঘার একটি হোটেলে ওঠে।তারপরেই শনিবার ঘটে গেল প্রেমে ছন্দপতন। হোটেলের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ দেখে হোটেল কর্তৃপক্ষ দীঘা মোহনা থানার খবর দেয়। মোহনা থানার পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে দেখতে পায় অরবিন্দ কোনাই সিলিং ফ্যানে গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। তড়িঘড়ি তাকে নামিয়ে দীঘা রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। মৃত্যু রহস্য উদ্ধারের জন্য প্রেমিকা ও হোটেল কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দীঘা মোহনা থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে দীঘা মোহনা থানায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। যার কারণে প্রেমিকাকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে অরবিন্দ কোণাই এর বাবা জানিয়েছে মঙ্গলবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিল। তারপর শনিবার ছেলের মৃত্যুর খবর যায়। ময়ূরেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দীঘা মোহনা থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পায়েল লাভপুর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। এই ঘটনাকে ঘিরে দীঘা শহরে পর্যটকদের মধ্যে চঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।