গত বুধবার প্রচারে বেরিয়ে নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের তৃনমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য।শুনতে হয় চোর চোর স্লোগান।এর পাল্টা শুভেন্দুর কনভয় ঘিরে চোর চোর স্লোগান দিলো তৃনমূল কর্মী সমর্থকেরা।এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নন্দীগ্রাম।
বুধবার ভোট প্রচারে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের একাধিক এলাকায় যান তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু। মূলতঃ এলাকায় ঘুরে জনসংযোগ সারছিলেন তিনি। পথে ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জেলেমারা ৩৭নং ও বৃন্দাবনপুর ৩৬নং বুথ এলাকায় গেলে দেবাংশুর পথে আটকে দাঁড়ায় বেশ কিছু বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। তাঁরা দেবাংশুকে দেখতে পেয়ে রীতিমতো চোর চোর শ্লোগান তুলতে থাকে।
এর পাল্টা দুই দিন পরে সেই নন্দীগ্রামেই শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় ঘিরে বিক্ষোভ দেখালো তৃনমূল কর্মী সমর্থকেরা।তোলে চোর চোর দিতে থাকে তৃনমূল কর্মীরা।যদিও পুলিশের তৎপরতায় দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
জানা গেছে শনিবার রাত্রে নন্দীগ্রামের দক্ষিণ কেন্দেমারীতে মনসা পুজোয় যাওয়ার সময় তৃণমূল কংগ্রেসের দেওয়া চোর স্লোগান এর মুখে পড়তে হয় শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়কে ।
রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় কালীর বাজার পেরিয়ে শুভানীচক বাসন্তী বাজারে ঢোকার মুখে এই ঘটনা ঘটে । গোপন সুত্রে পুলিশ আগাম ঘটনার খবর পাওয়ায় নন্দীগ্রাম থানার আইসির নেতৃত্বে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল ।
যদিও পুলিশের ব্যারিকেট ভেঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা চোর স্লোগান দিতে থাকে।তবে পুলিশ তৎপর থাকায় শুভেন্দু অধিকারী সহ তার কনভয় বেরিয়ে যায় ।
পরে এই ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের শুভেন্দু অধিকারী বলেন এখানে আসা আমার শুরু হল।কেন্দেমারী অঞ্চলটা নন্দীগ্রাম বিধানসভার বাইরে নয়।আমি এখানকার এম এলএ।আমি দেখছিলাম কত বাড় এদের বাড়ে।বলেন
পুলিশকে সামনে দাঁড় করিয়ে পিছনে পাঁচটা লোক হু হা করবে আর শুভেন্দু অধিকারী ভয়ে পালিয়ে যাবে ওসব হবে না, পুলিশ ডেকে নিয়ে এসেছে ওদের।গুন্ডা আর চোরেদের এখান থেকে খতম করব।