কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌম্যেন্দু অধিকারী জয়ী হওয়ার দিন থেকেই এই বিধানসভার নিজকসবা,খেজুরী, হলুদবাড়ি প্রভৃতি পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা তৃনমূল কর্মী-সমর্থকদের উপরে বেছে বেছে হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।বিজেপির এই সন্ত্রাস থেকে বাঁচতে পুলিশের তেমন সহযোগীতা পাওয়া যাচ্ছেনা বলেও অভিযোগ করেছেন কয়েক জন তৃনমূল নেতৃত্ব।বিশেষ করে তালপাটি কোস্টাল থানার বিরুদ্ধে অনেক সময়ে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ উঠেছে।
খেজুরীর ২ ব্লক তৃনমূল সভাপতি সমুদ্ভব দাস জানিয়েছেন খেজুরীতে গত কয়েকদিনে তৃনমূল কর্মীদের উপরে লাগাতার হামলা করছে বিজেপি।তাঁর আরো অভিযোগ পুলিশ কোথাও কোথাও দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহন করলেও অনেক সময়ে নিষ্ক্রিয় আচরন করছে।অভিযোগ করেছেন লক্ষনচক গ্রামে বিজেপির দুষ্কৃতীদের হামলায় একই বাড়ির তিন জন সদস্য গুরুত্বর আহত হয়েছে।আক্রান্ত সুবল মিদ্যা,অমিয় মিদ্যা ও গৌরীবালা মিদ্যাকে আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এমনকি আলিপুর বাজারে তৃনমূলের এক পার্টি অফিস বিজেপি গায়ের জোরে দখল করে গেরুয়া রং করার পরেও দোষীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।খেজুরী জুড়ে বিজেপির সন্ত্রাস রুখতে প্রশাসন কবে আরো সক্রিয় হবে সেই প্রশ্ন তুলছেন এলাকার তৃনমূল সমর্থকেরা
খেজুরী ২ ব্লকের তৃনমূল শ্রমিক সংঠনের সভাপতি গৌরী শংকর দাস জানিয়েছেন তৃনমূল সমর্থক হওয়ার অপরাধে মানসিংহবেড় বাজারে ৯টি দোকান গায়ের জোরে বন্ধ করে দিয়েছে সূর্যকান্ত দাস,সৌরভ সরকারের মত বিজেপি নেতৃত্ব।সাতখন্ড মোড়ে চা-চপ-পান দোকান করে সংসার চালাতো আশুতোষ প্রধান নামের এক প্রতিবন্ধী যুবক।তৃনমূল করার অপরাধে এই যুবকের দোকানও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গৌরী শংকর বাবু।বলেন একই কারনে সাতখন্ড মোড়ে বিশ্বজিৎ প্রধানের দোকান পুড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।মানসিংহবেড়ে মোহাম আলির দোকান ভাঙচুর,বাড়কষাড়িয়ায় অমরেন্দ্র নাথ ভূঞ্যার বাড়ি ভেঙ্গেছে বিজেপির দুষ্কৃতীরা।
বিজেপির দাবি করেছে এমন কোন ঘটনার সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই