ফৌজদারি, মানি লন্ডারিং, বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার মামলা সহ একদিনে কুড়ি হাজারেরও বেশি মামলা আদালতে উঠল পূর্ব মেদিনীপুর। জাতীয় লোক আদালতের মাধ্যমে এই মামলা গুলির নিষ্পত্তির জন্য শুনানি শুরু হয় ২২ জুন শনিবার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিবছর চারটি লোক আদালত বসে দেশজুড়ে। এবছরের আগে একটি জাতীয় লোক আদালত সম্পন্ন হয়েছে। আর এদিন বছরে দ্বিতীয় জাতীয় লোক আদালত শুরু হয়েছে। এদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় জেলা আদালতের পাশাপাশি কাঁথি ও হলদিয়া মহকুমা আদালতেও জাতীয় লোক আদালত বসেছে। জাতীয় লোক আদালত দিবসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট ২০ টি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। সঙ্গে একটি কনজিউমার কোর্ট। এই বেঞ্চগুলিতে মোট ১৯ হাজার ৮৬০ টি মামলা নিষ্পত্তির জন্য রাখা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক জেলা সদর আদালতে মোট ১১ টি বেঞ্চ গঠন করা হয়। ১১ টি বেঞ্চে নিষ্পত্তির জন্য মোট ১৪ হাজার ২২৯ টি মামলার শুনানি শুরু হয়। জাতীয় লোক আদালতের বিভিন্ন বেঞ্চের মামলার শুনানি শুরু হওয়ার পর। বিভিন্ন বেঞ্চ পরিদর্শন করেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা ও দায়রা বিচারক প্রিয়ব্রত দত্ত এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব সমরেশ বেরা সহ অন্যান্য বিচারক গণ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের পাশাপাশি হলদিয়া ও কাঁথি মহাকুমা আদালতে জাতীয় লোক আদালত বসেছে। হলদিয়া মহকুমা আদালতে অন্যান্য মামলার জন্য ২ টি বেঞ্চ করা হয়েছে। যেখানে মামলার পরিমাণ ১ হাজার ২৪৭ টি। অন্যদিকে কাঁথি মহাকুমা আদালতে মোট ৭ টি বেঞ্চ বসেছে জাতীয় লোক আদালত। নিষ্পত্তির জন্য ৪ হাজার ৩৭৪ টি মামলা কে বেছে নেওয়া হয়েছে। মোটর ভেহিকেলস অ্যাক্সিডেন্ট ক্লেম মামলা, চেক বাউন্স হওয়ার মামলা, ব্যাংক ঋণ সংক্রান্ত মামলা সহ বিভিন্ন মামলা নিষ্পত্তির জন্য জাতীয় লোক আদালতের বেঞ্চগুলি গঠন করা হয়।
বছরের তৃতীয় জাতীয় লোক আদালত নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা ও দায়রা বিচারক জানান, ‘বছরের দ্বিতীয় জাতীয় লোক আদালত ৯ মে বসার কথা ছিল। কিন্তু ভোটের কারণে পিছিয়ে ২২ জুন বছরে দ্বিতীয় জাতীয় লোক আদালত বসেছে। জেলায় তমলুক, কাঁথি ও হলদিয়া মিলিয়ে মোট ২০ টি বেঞ্চ করা হয়েছে। মানুষজন উৎসাহের সঙ্গে জাতীয় লোক আদালতে এসে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করছেন।’ প্রসঙ্গত দেশজুড়ে আদালতে আদালতে মামলার পরিমাণ কমানোর জন্য এই জাতীয় লোক আদালত বছরের নির্দিষ্ট দিনে চারবার আয়োজিত হয়।