কাঁথির উপকন্ঠে জুনপুটে হাজার হাজার মৎস্যজীবী ও গ্রামবাসীকে জীবন —জীবিকা থেকে উচ্ছেদ করে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র এবং হরিপুরে পরমাণুচুল্লী স্থাপন করার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আজ এসইউসিআই দলের পক্ষ থেকে কাঁথি শহরে মিছিল করে মহকুমা শাসক দপ্তরে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত জুনপুটে মিসাইল উৎক্ষেপণ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণের সময় থেকেই এসইউসিআই দল এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিল ৷ জুনপুট সহ সংলগ্ন এলাকার মৎস্যজীবী ও গ্রামবাসীর কোনো মতামত না নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা সংস্থা আজ থেকে ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য সামরিক বিমান মহড়া পরিকল্পনা করেছে ৷এরই প্রতিবাদ জানিয়ে এসইউসিআই কাঁথির মহকুমা শাসক দপ্তরে বিক্ষোভ কর্মসূচীতে সামিল হয়৷
দলের পূর্ব মেদিনীপুর দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক অশোকতরু প্রধান বলেন —” জুনপুটে হাজার হাজার মৎস্যজীবী ও গ্রামবাসীকে জীবন —জীবিকা থেকে উচ্ছেদ করে এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপন কেন্দ্র স্থাপন করা চলবে না ৷যদি ক্ষেপণান্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র করতেই হয় তাহলে অন্য কোন জনবিহীন স্থানে এই প্রকল্প স্থানান্তরিত করা হোক৷ কিন্তু কোনভাবেই হাজার হাজার মৎস্যজীবী ও সাধারন মানুষের রুটি রুজির অধিকার কেড়ে নিয়ে তাদের ভিটে মাটি থেকে উচ্ছেদ করে জুনপুটকে সামরিক ঘাঁটি বানানো চলবে না ৷ আর জুনপুটে এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র হলে আগামীদিনের সহজেই হরিপুরে পরমানু চুল্লি কেন্দ্র স্থাপনের কাজ আরও সহজতর হবে।এক্ষেত্রে লক্ষাধিক মানুষের জীবন জীবিকা থেকে উচ্ছেদ সম্ভাবনা আছে৷ আমরা চাই জুনপুটে— হরিপুরে পর্যটন কেন্দ্র এবং মৎস্য সংরক্ষণ শিল্প হোকপ কিন্তু কোনভাবেই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র এবং পরমাণু চুল্লী জন্য স্থাপন করা চলবে না। সরকার যদি জোর করে এই প্রকল্প স্থাপন করতে চায় তাহলে কিন্তু জনগণ নন্দীগ্রামের মতোনই প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।”
আজকের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিল দলের জেলা সম্পাদক অশোকতরু প্রধান,জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মানস প্রধান সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।