Select Language

[gtranslate]
৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বুধবার ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অন্যের জমি বিক্রির মামলার শুনানি করলেন ভূমি দপ্তরের অতিরিক্ত জেলাশাসক

অন্যের জমি বিক্রির মামলার শুনানি করলেন ভূমি দপ্তরের অতিরিক্ত জেলাশাসক। মঙ্গলবার জেলাশাসক দপ্তরের এই শুনানি হয়। উপস্থিত ছিলেন জমির মালিক আশিস মাইতি ও তার আইনজীবী প্রদীপ পন্ডা  এবং অভিযুক্ত কাঁথি পুরসভার কাউন্সিলার অতনু গিরি এবং তার ঘনিষ্ঠ পৌরসভার কর্মী কাবুল বেরা।  আশিস মাইতির অভিযোগ এর ভিত্তিতে নবান্নের নির্দেশে এই শুনানি হয় বলে সূত্র মারফত জানা গেছে। অভিযোগ কাঁথি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শেরপুর মৌজার আশিস মাইতির ৭৭ ডেসিমেল জায়গা বিক্রয়কে কেন্দ্র করে জটিলতা তৈরি হয়। আশিস মাইতি অভিযোগ করেন তিনি আর্থিক অভাবে পড়ে জমিটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই কারণে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অতনু গিরির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এমনকি জায়গাটি বিক্রি করার জন্য পাওয়ারনামা দিয়ে দেন। আশিস বাবু কাউন্সিলর  অতনু বাবুকে পাওয়ারনামা দিতে চাইলে অতন বাবু তার ঘনিষ্ঠ কাঁথি পৌরসভার কর্মী কাবুল বেরার নামে করার দেওয়ার প্রস্তাব দেন।

সেই প্রস্তাব অনুযায়ী আশিস মাইতি ৭৭ ডেস মিল জায়গার বিক্রির পাওয়ারনামা কাবুল বেরার নামে দিয়ে দেন। তার অভিযোগ প্রায় দু কোটি টাকার এই জায়গা বিক্রি করে তাকে কোন টাকা দেওয়া হয়নি।যদিও কাবুল বেরা এবং কাউন্সিলর অতনু গিরি জানিয়েছেন টাকা তাকে দেওয়া হয়েছে। তিনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন।আশিস মাইতি কাঁথি থানায় অভিযোগ জানালে কাঁথি থানা তার কোন ব্যবস্থা নেয়নি দীর্ঘদিন ধরে। দীর্ঘদিন কাঁথি থানা ব্যবস্থা না নিলে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এবং রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানান। নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝিকে দায়িত্ব দেন। জেলাশাসক ভূমি দপ্তরের বিষয়ের  কারণে জেলাশাসক ভূমি দপ্তরের অতিরিক্ত জেলাশাসক হরিহর চৌধুরীকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলাশাসক উভয়পক্ষকে নথি ও প্রমাণাদি নিয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য জানায়। সেই কারণে বাদী এবং বিবাদী উভয় পক্ষই হাজির হোন জেলা শাসকের দপ্তরের। আশিস মাইতির আইনজীবী প্রদীপ পন্ডা জানিয়েছেন আশীষ বাবু দাবি করেছিলেন যে তাকে কোন টাকা  দেওয়া হয়নি এবং একটি স্বাক্ষর করা ব্ল্যাংক চেক এবং স্ট্যাম্প পেপার অতনু বাবুদের কাছে ছিল। এদিন ব্ল্যাংক চেক জমা দিলেও ব্ল্যান্স স্ট্যাম্প পেপার জমা দেননি। এছাড়াও তারা কিছু টাকা আশীষ বাবু নেওয়ার কাগজ জমা দিয়েছেন। আশীষ বাবু জানিয়েছেন এই স্বাক্ষর  গুলো তার নয়। স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। এছাড়াও আইনজীবী প্রদীপ পন্ডা জানিয়েছেন যে জমি বিক্রির পাওয়ারনামা দিয়েছিলেন কিন্তু বিক্রি দলিলে আশিস বাবু আধার, ভোটার ও প্যান কার্ডের নথি যুক্ত করা রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা নিয়েছেন ভূমি দপ্তরের অতিরিক্ত জেলাশাসক। তিনি এবার বিজ্ঞানসম্মত তদন্ত করবেন। তদন্তে কি উঠে আসে সেটাই এখন দেখার।

ekhansangbad
Author: ekhansangbad

Related News

Also Read