বিজেপি ছেড়ে তৃনমূলে যোগ দেওয়ার অপরাধে
নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে তৃণমূল মহিলা কর্মীকে নগ্ন করে পাশবিক অত্যাচার সহ তাঁর ১৩ বছরের নাবালিকা মেয়ের উপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে কয়েকদিন আগে।এই নির্মম ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী ও নেতৃত্বদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে এবং আরজিকর কান্ডে দোষীদের শাস্তির জোড়া দাবিতে রাজ্যের শাসক দলের উদ্যোগে শুরু হয়েছে ধারাবাহিক অবস্থান বিক্ষোভ। তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে নন্দীগ্রাম ১ বিডিও অফিসের সামনে রীতিমত মঞ্চ বেঁধে শুরু হয়েছে এই ধারাবাহিক অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি।
“সবার গলায় একটাই স্বর, জাস্টির ফর আরজিকর, জাস্টিস ফর গোকুলনগর”- এই স্লোগানকে সামনে রেখে তৃণমূলের এই কর্মসূচিতে রীতিমত সাড়া পড়ে গেছে নন্দীগ্রাম জুড়ে।উল্লেখ নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
নন্দীগ্রামের এই মঞ্চে বৃহস্পতিবার উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা পটাশপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক উত্তম বারিক। তিনি নন্দীগ্রামের গোকুলনগর এবং আরজিকর কাণ্ডের দোষীদের শাস্তির জোরালো দাবি তোলেন। তাঁর সঙ্গে এই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি সুহাসিনী কর , জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ সামশূল ইসলাম , তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সেক সুফিয়ান , নন্দীগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ , নন্দীগ্রাম ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রবিন জানা , প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মহাদেব বাগ সহ বিশিষ্ট নেতৃত্ববৃন্দ ও আন্দোলনকারীরা।
তৃনমূল সমর্থক এই মহিলার সম্মানহানির অভিযোগে ধৃত বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারে রাজি না হওয়ায় নির্যাতিতার ওপর পুনরায় নারকীয় অত্যাচার নামিয়ে আনে বিজেপির লোকজন। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাতের অন্ধকারে দরজা ভেঙে পোষ্য কুকুরের ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে রাস্তায় বিবস্ত্র করে হাঁটানো-সহ মারধর করা হয় তাঁকে। নির্যাতিতার নাবালিকা কন্যাও নির্যাতনের শিকার হয়। মহিলার স্বামীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা শুরু করে পুলিশ।
মহিলার উপরে অত্যাচারের ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ধর্ণা-অবস্থানে শামিল হয় তৃণমূল। ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, ‘আমাদের দাবি গোকুলনগর ও আরজি কর-কাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া হোক। গোকুলনগরের ঘটনার পরিকল্পনা বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে বসে হয়েছিল। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপির লোকেরা। আমরা পুলিশের হাতে ভিডিওসহ বেশ কিছু ডকুমেন্ট তুলে দিয়েছি।
তদন্তে নেমে ঘটনায় জড়িত বিজেপির স্থানীয় বুথ সভাপতি- সহ ৬ জনকে ইতিমধ্যে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ১৮ আগস্ট দ্রুত সুস্থতার জন্য নির্যাতিতাকে কলকাতার এসএসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধিদলের তত্বাবধানে।