নিম্নচাপজনিত প্রবল বৃষ্টির কারণে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট, পাঁশকুড়া, পটাশপুর, হলদিয়া সহ জেলার এক বিরাট এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে নিচু এলাকার আমন ধানচাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল পান ও ফুলের চাষও ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন। বেশ কিছু নিচু এলাকার রাস্তাঘাটও জলমগ্ন হয়েছে। নদী বা খালের উপর বেশ কয়েকটি ব্রীজও ইতিমধ্যে ভেঙে গিয়েছে। অনেক পুকুর ডুবে গিয়েও মাছ বেরিয়ে গেছে। কিছু এলাকার মাটির বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার মধ্যেকার নদীগুলিরও জল বাড়তে শুরু করেছে। ব্যারেজ থেকে জল ছাড়লেই যে কোন সময় বন্যা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে জেলা শাসক ও সেচ দপ্তরের সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র নায়ক অভিযোগ করেন, গত ২০২১ সালে জেলা জুড়ে বন্যা ও জলবন্দী পরিস্থিতির পর থেকে সেচ দপ্তর প্রায় কোনও নিকাশী খাল সংস্কারে হাত না দেওয়ায় ও খালের ভেতরে যত্রতত্র অবৈধ কাঠামো নির্মাণ সহ জলনিকাশী অবরুদ্ধ করে বেআইনি মাছের ভেড়ি হওয়ার কারণে দু/তিনদিনের বৃষ্টিতে জেলার এই জলবন্দী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়,নিকাশী খালগুলির ভেতরে থাকা কচুরিপানা,বনসৃজনের গাছ, মাছ ধরার জাল-পাটা সহ সমস্ত রকমের আবর্জনা বর্ষার পূর্বেই পরিষ্কার করবার দাবি আমাদের কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হলেও সেচ দপ্তর গড়িমসি করে বর্তমানে ওই পরিষ্কারে হাত দিয়েছে। যার ফলে জলনিকাশীর এই বেহাল দশা বলে উনি বলেন।