বর্ধিত বিদ্যুৎ মাসুল ফিক্সড চার্জ ও মিনিমান চার্জ প্রত্যাহার, স্মার্টলি টাকা লুটের যন্ত্র স্মার্ট প্রিপেইড মিটার বাতিল সহ গ্রাহক সমস্যা সমাধানের দাবিতে ZM-এর নিকট বিক্ষোভ ডেপুটেশন হয়।
পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলার জোনাল ম্যানেজার এর কাছে এই ডেপুটেশন দিতে পাঁচ জেলার সহস্রাধিক গ্রাহকরা মেদিনীপুর স্টেশন থেকে মিছিল শহর পরিক্রমা করে জেলাশাসক দপ্তরের সামনে পৌঁছালে গ্রাহকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। ক্ষুদিরাম মোড়ে হয় প্রতিকী পথ অবরোধ । পোড়ানো হয় স্মার্ট মিটার, ফিক্সড চার্জ ও মিনিমাম চার্জ এর প্রতিলিপি। অগ্নিসংযোগ করেন ABECA এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক শ্রী সুব্রত বিশ্বাস।
সেখান থেকে মিছিল ফকির কুয়াঁস্থিত জোনাল ম্যানেজারের দপ্তরের অভিমুখে রওনা হয়। জোনাল ম্যানেজারের গেট বিশাল পুলিশ বাহিনী দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা ছিল। গ্রাহকরা গেটে প্রবল বিক্ষোভ দেখান। গেটে ঠেলাঠেলি শুরু হয়ে যায়। জোনাল ম্যানেজারের দপ্তরের সম্মুখস্থ রাস্তা এক ঘন্টারও বেশি সময় অবরুদ্ধ হয়ে থাকে। চলে বিক্ষোভ সভা।
ABECA এর রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলের সদস্য তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি মধুসূদন মান্নার নেতৃত্বে পূর্ব মেদিনীপুরের সভাপতি অধ্যাপক জয়মোহন পাল সম্পাদক শংকর মালাকার, পুরুলিয়ার সম্পাদক গৌতম হাতি, বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক স্বপন নাগ এক প্রতিনিধি দল ZM এর কাছে ডেপুটেশন দেন। আগে থেকে ইন্টিমেশন দেওয়া সত্ত্বেও গ্রাহকদের সদুত্তর দিতে না পারার ভয়ে ZM পালিয়ে বেড়িয়েছেন। এই খবর বাইরে আসায় অবরোধ চলতে থাকে। অন্যান্য অফিসাররা স্মারকলিপি গ্রহণ করে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ দৃঢ়তার সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান স্মার্ট মিটার বসাতে গেলে তীব্র প্রতিরোধ হবে। ক্ষুদ্র শিল্পের বিপুল মিনিমাম চার্জ অনাদায়ে লাইন কাটা বন্ধ রাখতে হবে, গৃহস্থ সহ সকল বিদ্যুৎগ্রাহকের লোড বাড়ানোর অজুহাতে খামখেয়ালী বিল পাঠানোর প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। বাঁশের খুঁটি অবিলম্বে পরিবর্তন করতে হবে। অন্যথায় কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে শুরু করে সর্বস্তরে তীব্র গ্রাহক প্রতিরোধ আন্দোলন হবে।
বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন সুব্রত বিশ্বাস। তিনি গ্রাহকদের আহ্বান জানান- *স্মার্ট মিটার বসাতে গেলে তীব্র প্রতিরোধ করে ফেরত পাঠান, এই ডাকাতির যন্ত্র বসাতে দেবেন না। তিনি আহ্বান জানান এর জন্য ট্রান্সফরমার ভিত্তিক প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তুলুন। বেআইনি অযৌক্তিক বিপুল মিনিমাম চার্জ- অনাদায়ে লাইন কাটতে গেলে প্রতিরোধ করে ফেরত পাঠান। তিনি ঘোষণা করেন অতিরিক্ত লোডের নামে সর্বস্তরের গ্রাহকদের টাকা লুটের আগে আমাদের কোম্পানির ঘরে জমা রাখা সিকিউরিটি ডিপোজিটের সুদ সহ ফেরত দেওয়ার বিদ্যুৎ আইন মোতাবেক টাকা এডজাস্ট না করে কোন বাড়তি বিল পাঠানো যাবে না
তিনি ঘোষণা করেন আগামী মার্চ মাসে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের পার্লামেন্ট অভিযান হবে।
বিক্ষোভ সবাই এছাড়াও বক্তব্য রাখেন অশোক ঘোষ শালবনী থানা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক তারকনাথ মোদক, দীপক পাত্র প্রমূখ।
সেই সঙ্গে আজ ডিস্ট্রিক্ট ফুড ইন্সপেক্টর এর নিকটও রেশনে গম সরবরাহের দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। যাতে ক্ষুদ্র শিল্প গুলি সচল থাকতে পারে। সেই সঙ্গে কর্পোরেটদের পেশাই করা নিম্নমানের আটা খাওয়ানোর ঘৃণ্য প্রক্রিয়া বন্ধ হয়।