মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতীক নিয়ে এখানে প্রোগ্রাম হচ্ছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াকু নেতৃত্ব, আমরা এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরয়ের কথা বলতে এসেছি । এই প্রোগ্রামে কেউ আসুক আর নাই আসুক তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২ ব্লকের বিবেকানন্দ অঞ্চল যুব তৃণমূল ও আইএনটিটিইউসি’র উদ্যোগে আয়োজিত সভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই মন্তব্য করলেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। কিন্তু এদিন সভায় গরহাজির ছিলেন এগরার তৃণমূল বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি, দলের ব্লক তৃণমূল সভাপতি স্বরাজ খাঁড়া ও স্থানীয় অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি বিমল জানা-সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। কিন্তু স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩ তম জন্মজয়ন্তীতে দেখা তৃণমূলে ফের একবার গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এলো। কিন্তু সুপ্রকাশের দাবি, দল বড়ো হয়েছে। আমাদের মধ্যে মতানৈক্য থাকতেই পারে। কিন্তু কোন গোষ্ঠী নেই। সুপ্রকাশ বলছে, আমাদের একটাই দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা তুলে ধরে তৃণমূল কংগ্রেসকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। এখানে বিজেপির পঞ্চায়েতে আছে এর বিরুদ্ধে ২০২৬ বিধানসভা কে থাকবে আমরা আরো শক্তিশালী হবো। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে আমরা এই শপথ নিলাম। এদিনের সভায় কিন্তু রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি জানিয়েছেন, স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে যত বেশি করে তার জীবন সংগ্রাম চর্চা করতে পারবো তত সাধারন মানুষের কল্যাণ হবে উপকার হবে, ঝগড়া ঝাটি নিয়ে আমাদের সমাজ দুর্বল হচ্ছে এই দুর্বলতাকে কাটাতে হবে। ভারতবর্ষ হচ্ছে স্বামীজীর দেশ এই দেশে সমস্ত দুর্বলতা কে কাটাতে হবে। ছোট পরিবার সুখী পরিবার বড় পরিবার হলে একটু গন্ডগোল লাগে। তবে দলের মধ্যে যত মতবিরোধ থাকুক না কেন যখন আমাদের নেত্রী যা নির্দেশ দেয় আমরা সবাই মিলে সেই নির্দেশ পালন করার চেষ্টা করি। এদিন তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে একেবারেই দেরি করেনি গেরুয়া শিবির।
মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির যুবমোর্চার সাধারণ সম্পাদক অমলেশ পাহাড়ি জানিয়েছেন, এগরা দু’নম্বর ব্লকে বেশিরভাগ অঞ্চলে তৃণমূলের অস্তিত্ব নেই। সেটা বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপনারা দেখতে পেয়েছেন, এবং লোকসভা নির্বাচনেও দেখেছেন । এবং সামনে যে বিধানসভা নির্বাচন আছে সেটাতেও তা প্রমাণিত হবে। এই সভা থেকে পরিষ্কার প্রমাণিত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস গোষ্ঠী কোন্দলে ভুগছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সভা করার কোন শক্তি নেই, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি মানুষের কোন উৎসাহ নেই, তৃণমূল কংগ্রেস নির্লজ্জের মত সভা করতে গিয়েছিল দুঃখের পরিস্থিতিতে লজ্জার পরিবেশে আমার মনে হয় বিধায়ক ওইখানে যেতে পারেনি। তবে ফোনে যোগাযোগ করা হলে এ প্রসঙ্গে এগরার তৃণমূল বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতির কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা দীনেশ প্রধান, আরতি মুন্ডা, প্রকাশ রায়চৌধুরী, সন্দীপ পাত্র, সুধাকান্ত গিরি, স্বপন পাত্র, দেবদুলাল মাইতি, নির্মল পাত্র, অভয় জানা প্রমুখ।