প্রদীপ কুমার সিংহ :- প্রায় দেড় বছর থাকার পর পুলিশ গ্রফতার করে। অবৈধভাবে ভারতে থাকার অপরাধে সোনারপুর থেকে গ্রেফতার পাঁচ বাংলাদেশী। ধৃতদের আজ পেশ করা হবে বারুইপুর আদালতে। ধৄতেরা হল তুষার আহমেদ, ইসমাইল হোসেন, সামিদুল ইসলাম, মহম্মদ শামিম ও মহম্মদ জলিল ৷ এই পাঁচজনের মধ্যে ৪জন বৈধভাবে ভারতে এলেও জলিল অবৈধভাবে এসেছে বলে জানা গিয়েছে ৷ উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সীমান্ত দিয়ে তারা এদেশে প্রবেশ করেছে বলে জানা গি্য়েছে ৷ ধৄতদের মধ্যে জলিল ভারতে এসে জাল আঁধার কার্ড তৈরি করেছে বলেও জানা গিয়েছে পুলিশ সুত্রে ৷ বাংলাদেশের ঢাকা, কুস্তিয়া, বড়িশাল ও লক্ষ্মীপুর এলাকায় বাড়ি পুলে পুলিশ সুত্রে খবর ৷ ধৄতদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের থানায় মামলা রয়েছে বলেও পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে ৷ ধৄতদের মধ্যে একজন চীনেও গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে ৷ প্রত্যেকের কাছ থেকেই পাওয়া গিয়েছে বাংলাদেশী সিমকার্ড ৷ পুলিশ সুত্রে খবর ২৩ সালে জুলাই মাস নাগাদ তারা ভারতে আসে ৷ তারপর থেকে সোনারপুরের বিভিন্ন এলাকায় তারা ছিল ৷ সবাই একটি গেঞ্জি কারখানায় কাজ করত ৷ সেইসুত্র ধরেই তারা একসাথে থাকা শুরু করে বলে প্রাথমিক জ্ঞিসাবাদ করে জানতে পেরেছে পুলিশ ৷ রবিবার রাতে গোপনসুত্রে খবর পেয়ে সোনারপুর থানার পুলিশ বৈকুন্ঠপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক ছিল। এখানে এসে তারা কোনও দুষ্কৄতিমুলক কাজকর্মে জড়িত হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ প্রত্যেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালি ৷
ধৄতদের মধ্যে ৪জন টুরিস্ট ভিসা নিয়ে এদেশে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে ৷ ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তারা এখানেই রয়ে যায় ৷ এখানে থেকে কাজকর্মও শুরু করে তারা ৷ একবছরেরও বেশি সময় ধরে সোনারপুরের বৈকুন্ঠপুর এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিল ৫জন বাংলাদেশি। প্রত্যেকেই পুরুষ। তারা একটি গারমেন্টস কোম্পানিতে শ্রমিকের কাজ করত। সোনারপুরের বৈকুন্ঠপুরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে তারা থাকা শুরু করেছিল। এলাকার বাসিন্দাদের সাথে সেইভাবে মেলামেশা করত না। ফলে তাদের সম্পর্কে প্রতিবেশীরা কেউই খুব একটা কিছু জানে না। তবে যে বাড়িতে থাকত সেই বাড়ির মালিক পলাতক। তার সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ধৄতরা এদেশে এসে কোনরকম অসামাজিক কাজের সাথে যুক্ত ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ সোনারপুর থানার পক্ষ থেকে সোমবার ধৃত ব্যক্তিদের বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলে।