স্বামীজী বলতেন, “শশী ছিল মঠের প্রধান খুঁটি। সে না থাকলে আমাদের মঠ বাস অসম্ভব হত। সন্ন্যাসীরা ধ্যানভজনে প্রায়ই ডুবে থাকতো এবং শশী তাঁদের আহার প্রস্তুত করে অপেক্ষা করতো, এমন কি মাঝে মাঝে তাদের ধ্যান থেকে টেনে এনে খাওয়াত”।
কাঁকুড়গাছিতে ঠাকুরের অস্হিকলস প্রতিষ্ঠার সময় পূজান্তে যখন সমাহিত করে মাটি ফেলা হচ্ছিল, শশী মহারাজ কেঁদে উঠে বলেছিলেন, “ওগো,ঠাকুরের গায়ে বড় লাগছে”। …..তাঁর সেবা, ভক্তি ও দৃঢ় নিষ্ঠার দাবী মেনে স্বামীজী তাঁকে রামকৃষ্ণানন্দ নামে পরিচিত করেছিলেন।
অবসরবিনোদনের উপায় হিসাবে অঙ্ক কষতেন ও সংস্কৃত পড়তেন শশী মহারাজ, মঠে সমাগত যুবকরা তাঁর কাছে অধ্যয়নে প্রচুর উৎসাহ পেতেন। ‘ইনোসেন্ট এ্যাট হোম’ ও’ ইনোসেন্ট এ্যাব্রড ‘ প্রভৃতি হাস্যরসময় ইংরাজী বই থেকে পড়ে তিনি সকলকে আনন্দ দিতেন।
দক্ষিণ ভারতে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের কার্যের প্রতিষ্ঠাতা শশী মহারাজ, স্বামীজীর অন্তর্ধানের পর তাঁর স্মরণে এই অমর প্রণাম মন্ত্রটি রচনা করেছিলেন….
“নমঃ শ্রী যতিরাজায় বিবেকানন্দ-সূরয়ে।
সচ্চিৎসুখস্বরূপায় স্বামিনে ক্লেশহারিণে।।”
শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তমালিকা : পৃষ্ঠা 252
সৌজন্যেঃ স্বামী বিভাত্মানন্দ জি মহারাজ।।