ফের রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা মন্তব্যের দায় এড়ালেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।যাকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি বিজেপির অন্দরেও জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকে রামতরকে বিজয়ের সম্মেলনে এসেছিলেন বিজেপি সর্ব ভারতীয় সহসভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ।সেখানেই সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে পুতনা রাক্ষসী বলে আক্রমন করে, এই মন্তব্যে দল কিংবা দিলীপ বাবু সহমত কিনা।তখনই বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন ওটা দুটো পরিবারের বিষয়! যদিও পরক্ষনে দাবি করেন কখনও কখনও তৃনমূলের ভাষাতে বিজেপি নেতাদেরও কথা বলতে হয় ।তবে দিলীপ বাবুর এই বক্তব্য সোস্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল হয়ে যায়।প্রসঙ্গত এর আগে পটাশপুরেও শুভেন্দু অধিকারীর করা মন্তব্যের দায় নিতে অস্বীকার করেছিলেন দিলীপ । এই টুকু অংশ বাদ দিলে রামতরকে বিজয়ের সম্মেলনের অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষ নিজের স্বভাবসিদ্ধ ঢঙ্গেই আক্রমন করেছেন রাজ্যের শাসক দলকে।
দিলীপ ঘোষ বলেন গতবারে লোকসভায় মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম আসন থেকে বিজেপি সাংসদরা দিল্লি গেছে।আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে অখন্ড মেদিনীপুর থেকে পঞ্চপান্ডব (পাঁচভজন সাংসদ) পাঠাবো এই অঙ্গীকার নিতে হবে। বলেন গতবারে পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি প্র্যাকটিস খেলে গিয়েছে এবারে পঞ্চায়েত ভোটের ম্যাচ খেলবে। দেখবেন আরো অনেক কিছু ঘটবে। তৃণমূলের বিদায় ঘন্টা বেজে গিয়েছে আগামী পঞ্চায়েত ভোটে বুঝতে পেরে যাবে।
বিজেপি সাংসদের দাবি কোথাও মাওবাদী নেই।তবু কেন্দ্র কাছ থেকে মাওবাদী নাম করে বছরে ২২৫ কোটি টাকা নিচ্ছে রাজ্য ।একই সাথে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা না থাকাকে গুরুত্ব দিতে রাজী হননি দিলীপ ঘোষ ।