Select Language

[gtranslate]
৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বুধবার ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

।। গ্রামে হাজির “দিদির দূত” ।।

প্রদীপ কুমার মাইতি :- ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুনভাবে জনসংযোগ করতে গ্রামে গ্রামে হাজির ঘাসফুল নেতারা। ইতিমধ্যেই চলতি বছরে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। বিরোধীদের একইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ ঘাসফুল শিবির। এবার ‘দিদির দূত’ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে ‘অঞ্চলে একদিন’ পালন করলেন খোদ রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের কারাগার মন্ত্রী অখিল গিরি।


সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কর্মসূচি পালনে মাঠে-ময়দানে নেমে পড়ছেন তাঁরা। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর ১ ব্লকের হলদিয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ কর্মসূচিতে গেলেন রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি।

এদিন প্রথমে হলদিয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাগরেশ্বরে একটি মহাদেব মন্দিরে পুজো দেন। তারপর কনিওরা গ্রামের বাসিন্দাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা খোঁজ খবর নেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী। এরপরে দেঁদাড়ি গ্রামে যান। সেখানে সাধারণ মানুষের অভাব – অভিযোগ শোনেন। পাশাপাশি গাঁগড়া হরিজন প্রাথমিক স্কুলের মিড-ডে-মিল খতিয়ে দেখেন এবং স্কুলের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন।


সেইসঙ্গে কচিকাঁচাদের হাতে চকলেট তুলে দেন মন্ত্রী অখিল গিরি। রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি জানিয়েছেন, “গত ২ রা জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন “দিদি সুরক্ষা কবচ” কর্মসূচি পালনের জন্য। দ্বিতীয় পর্যায়ের ‘অঞ্চলে একদিন’ কর্মসূচি শুরু করলাম।

এই কর্মসূচি দু’টি পর্বে চলবে। প্রথমে জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সাংসদ ও বিধায়ক যাবেন। তারা তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে রাত্রি যাপন করবেন। এরকম করে ৭ দফা কর্মসূচি পালন হবে।” উল্লেখ্য, বুধবার, ১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি। কর্মসূচিতে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে যাবেন ‘দিদির দূত’রা। গ্রামে-গ্রামে ঘুরে শুনবেন মানুষের কথা। মানুষ যা পেয়েছেন সেটা যেমন লেখা হবে, তেমন না পাওয়ার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে। তৈরি করা হবে লিস্ট। দলের কর্মীর বাড়িতে তাঁদের সঙ্গে ভাগ করে খেতে হবে রাতের খাবার।

প্রসঙ্গত, গত ২ জানুয়ারি কোলকাতার নজরুল মঞ্চে ‘দিদির দূত’-এর ঘোষণা করে দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, দিদির দূত হিসাবে কাজ করবেন প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ ভভলেন্টিয়ার। তাঁরা মানুষের বাড়ি বাড়ি যাবেন। এই কর্মসূচি ২টো পর্যায়। প্রথম পর্যায়ে, প্রত্যেক সাংসদ, বিধায়ক, সভাধিপতি, জেলা প্রেসিডেন্ট, জেলা চেয়ারম্যান, দলীয় মুখপাত্ররা ৩২০ জনের টিম তৈরি হয়েছে। তাঁরা জানুয়ারির ১১ তারিখ থেকে ফেব্রুয়ারী ২৮ অবধি ১০ রাত করে গ্রামে থাকবেন। বাংলায় সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৩৪৩ অঞ্চল রয়েছে। ১ জন ১০টা অঞ্চলে রাতে থাকেন, তবে ৩২০ জনের হিসাবে ৩ হাজার ২০০ অঞ্চলে রাত কাটানো যাবে। ৯৮ শতাংশ অঞ্চলই ঘোরা হবে বলে দলীয় সূত্রের খবর। এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রামনগর ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি নিতাই চরণ সার, রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মহাপাত্র, দলের ব্লক যুব সভাপতি কৌশিক বারিক, হলদিয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রমিন মহম্মদ, দলের অঞ্চল সভাপতি শুভ্রাংশু জানা, রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা চন্দনা সাউ প্রমুখ।

ekhansangbad
Author: ekhansangbad

Related News

Also Read