প্রদীপ কুমার সিংহ :- গত ২১জানুয়ারি আইএসএফ পার্টির জন্ম দিন ছিল।এই জন্মদিন উপলক্ষে কলকাতার ধর্মতলা একটি সভার ডাক দিয়েছিল। ঐদিন ভাঙ্গড় এ হাতিশালা ও কলকাতার ধর্মতলা এলাকায় সভা করতে গিয়েছিল।
ভাঙরের হাতিশালা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আইএসএফের প্রথমে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার আগে ওই বিশৃঙ্খলা মধ্যে বেশ কিছু ভাঙ্গরের হাতিশালা তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টির অফিস ভাঙচুর ও কিছু গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল।
এর ফলে ধর্মতলা এলাকার পুরো স্তব্ধ করে দেয় আইএসএফের কর্মীরা। যার ফলে মানুষের ভোগান্তির শেষ ছিল না পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।যার ফলে বেশ কিছু আইএসএফ নেতা ও বিধায়ক নাওয়াজ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিশ ও কলকাতা লেদার কমপ্লেক্সের থানার পুলিশ।
নওয়াজ সিদ্দিকী এর ব্যাঙ্কশাল কোর্টে প্রথমে বিচার হয় তাতে করে দশ দিনে পুলিশি হেফাজতে রাখা নির্দেশ দেন বিচারক।
নাওয়াজ সিদ্দিকী ১০ দিন প্রেসিডেন্সি জেলে ছিল। এবং বারুইপুর কোটে প্রায় ৫১ জন আইএসএফ কর্মীকে ওইদিন তোলা হলে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বারুইপুর কোর্টে মহামান্য বিচারক।
কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার আইএসএফ এর বিধায়ক এর নামে মামলা রুজু করেছিল ওইদিনের ঘটনায়।শুক্রবার তাদের আবার বারুইপুর কোটে তোলা হলে আই এস এ বিধায়ককে ছয় দিনে পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন ও আই এফ শেভ কর্মীদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে থাকা নির্দেশ দেন বিচারক বারুইপুর মহকুমা আদালতের বারুইপুর কোট।
শুক্রবার বারুইপুর এসডিপিও আতিশ বিশ্বাস ও বারুইপুর থানা আধিকারিক সৌম্যজিৎ রায়ের ও মহিলা থানা আধিকারিক কাকলি ঘোষ কুন্ডুর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়ন করা ছিল।যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। যদিও আই এস এফ এর কর্মীরা দফায় দফায় শ্লোগান দিয়েছিল মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে পশ্চিমবাংলার সরকার।
পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতার নামে দফায় দফায় স্লোগান দেন মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ দাবি করেন। সেই সঙ্গে বিধায়ক সিদ্দিকি কোর্টে ঢোকার সময় সাংবাদিকদের বলেন সরকারের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে সামনে পঞ্চায়েতের ভোট চারিদিকে আইএসএফ কর্মীরা উজ্জীবিত হচ্ছে যার ফলে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছে সরকার।