পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থানার বহলিয়ায় দেওরকে কাটারির কোপ মেরে খুন করলো এক গৃহবধূ।পরে কাঁথি থানায় গিয়ে আত্মসমপর্ণ করলো এই গৃহবধূ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ।
কাঁথির মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , নিহতের নাম নিমাই জানা (৪৮)। আর খুনে অভিযুক্ত বধূর নাম কবিতা মিদ্যা।
বহলিয়া গ্রামে মামার বাড়িতে ছোট বেলা থেকে থাকেন অভিযুক্ত কবিতার স্বামী সুব্রত মিদ্যা। আরো জানা গেছে মামার বাড়িতে থাকায় স্থানীয় ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন সুব্রত । এমনকি বিয়ে পরে মামার বাড়িতেই পরিবার নিয়ে থাকে সুব্রত। বর্তমানে তাঁদের দুই নাবালক ছেলে-মেয়েও রয়েছে।
এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন সুব্রত পরিবারকে নিয়ে মামারবাড়িতে থাকায় আপত্তি ছিল তার মাসতুতো দাদা নিমাইয়ের। যা নিয়ে প্রায়ই প্রতিনিয়ত অশান্তি করতো ।
অভিযুক্তা গৃহবধূর অভিযোগ সুব্রতর অবর্তমানে শনিবার দুপুরে মদ্যপ অবস্থায় এসে তাঁর সঙ্গে অশান্তি শুরু করে নিমাই।অশ্লীল গালিগালাজ করে তাঁকে। শুধু তাই নয়, রান্না করা ভাত ও তরকারি গুলো লাথি মেরে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে কবিতা তার নিজের বাড়ি থেকে কাটারি বের করে এনে সোজা কোপ বসিয়ে দেন নিমাইয়ের গলায়।
ঘটনাটি জানাজানি হতেই ভিড় জমতে শুরু করে। জনরোষের পড়ার ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান কবিতা। এরপর বিকেলে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন কাঁথি মহিলা থানায়। খুনের কথা জানান এবং গ্রেপ্তার করার আর্জি জানান। কাঁথি মহিলা থানা মারফত ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মূতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে কাঁথি থানার পুলিশ।