পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি এখনও। তবু লড়াইয়ের জমি প্রস্তুত রাখতে বহু আগে থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি। শুধু রাজ্য নয়,কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও নজর দিয়েছে বাংলার পঞ্চায়েত ভোটের দিকে।গত বিধানসভা নির্বাচনের মত এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে দিল্লি থেকে নেতাদের আগমন শুরু হয়েছে।
রবিবার, দুটি জনসভা করে গেলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে দুটি সভা থেকে কখনও নাম নিয়ে আবার কখনও নাম না উচ্চারন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমন করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।তবে সেই সভাস্থল ফাঁকা থাকায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাজ্যের শাসক দল তৃনমূল।
জেপি নাড্ডা তাঁর ভাষনে একের পর এক আক্রমন করেছেন মমতা-অভিষেক এবং রাজ্য সরকারকে।বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতির পাশাপাশি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার,কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানী,সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা হাজির থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বহু নেতৃত্ব হাজির থাকলেও আর এস ময়দানের বেশীর ভাগ এলাকা এদিন ফাঁকা ছিলো।আর যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি ।তৃনমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন মঞ্চ বেঁধে নেতা-নেত্রীদের আনলেই হয় না ।সেই দল কিংবা সভায় আসা নেতা-নেত্রীদের প্রতি প্রতি মানুষের আবেগ-ভালোবাসা থাকলেই তাঁরা সভায় আসেন।বিজেপির চালাকি মানুষ ধরে ফেলেছে।ওদের নেতা-নেত্রীদের মিথ্যা ভাষন আর কুৎস্যা মানুষ শুনতে চায়না।তাই সভায় লোকের দেখা নেই । প্রসঙ্গত এমনিতেই মাঠের বেশীর ভাগ অংশ এদিন ফাঁকা ছিলো।তার উপর অনেককেই নাড্ডার ভাষন শুরুর সময় সভাস্থল ছেড়ে বাড়ি মুখো হতে দেখা যায় ।