শনিবার খেজুরী আদর্শ বিদ্যাপীঠ স্কুল কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় প্লাটিনাম জুবিলী উৎসব কমিটি ও অঙ্গকল্পা-র সহযোগিতায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হল জব অরিয়েন্টেড এডুকেশন ফেয়ার বা শিক্ষা মেলা।
নিজেদের বিদ্যালয় ছাড়াও পাশাপাশি কয়েকটি বিদ্যালয়ের কিছু জন ,খেজুরী ও নন্দীগ্রাম কলেজের মিলিয়ে প্রায় ৮০০ জনেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত হয়।
রাজ্য ও জাতীয় স্তরের ১৮টি নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এসে সেমিনারে বক্তব্য রাখলেন এবং প্রত্যেকের আলাদা আলাদা স্টলে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে কাউন্সিলিং করলেন।
অনুষ্ঠানের প্রথমে সেমিনার মঞ্চে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যুৎ কুমার দাস, তুষার বাবু, অনুষ্ঠানের সঞ্চালক সমুদ্ভব বাবু সহ সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মী, স্কুল কলেজ সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষক প্রতিনিধিদের প্রথমেই চন্দন ও পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করা হয়।
আগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের ও বরণ করা হয়। ১৮ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাহারারহাট হাসপাতাল ও ফলতা জে আই এস নার্সিং ইনস্টিটিউট এর ডাঃ মহঃ জাহিরুল ইসলাম সেখ এবং ব্যাঙ্গালোরের হিল সাইড গ্রুপ থেকে প্রেজিস পাল,গান্ধারি কলেজ এর পক্ষ থেকে লক্ষ্মীনারায়ন গিরি ,টি আই ই এম এর পক্ষ থেকে অঘ্দীপ পাল , নেওটিয়া ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে সৌরভ চৌধুরী , ELIT এর পক্ষ থেকে শান্তনু পান, ব্রেনওয়ার ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে সুদেষ্ণা সরকার,লাভলী প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি, কলকাতার টেকনো ইন্ডিয়া,স্বামী বিবেকানন্দ ইউনিভার্সিটি, সিকম ইউনিভার্সিটি হাওড়া,ইএলএলএম কলকাতা সহ সকল প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মঞ্চে বরণ করা হয় এবং সবাই একযোগে প্রদীপ প্রজ্জলন ও ছাত্রীদের দ্বারা উদ্বোধনী নৃত্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। একে একে সবাই বক্তব্য রাখেন।
এই অনুষ্ঠানের প্রধান আয়োজক আন্তরিক সহযোগিতা করেন বিশেষ শুভানুধ্যায়ী সুশান্ত কুমার ধাড়া ও নৃত্যশিল্পী ও শিক্ষক প্রনোজিৎ সামন্ত,সাগর মান্না,রাহুল পাত্র। তারপর প্রত্যেকের নিজস্ব স্টলে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। সারাদিনের এই অনুষ্ঠান খুব সার্থক রুপ নেয়।
সবাইকে সকাল বেলার টিফিন ও দুপুরের আহারের প্যাকেট দেওয়া হয়।ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও আয়োজকদের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষা কর্মী, অভিভাবক অভিভাবিকা, শুভানুধ্যায়ী, ও বিশেষ উৎসাহী হাজার খানেক মানুষের উপস্থিতিতে আজকের এই এডুকেশন ফেয়ার খুবই সাফল্য মন্ডিত হলো। যেটা সচরাচর গ্রাম বাংলায় দেখা যায়নি, আজকে সেটা হল খেজুরী আদর্শ বিদ্যাপীঠে।