কেকা মিত্র :- তিনদিন ধরে গোবরডাঙ্গার সংস্কৃতি কেন্দ্রে বিভিন্ন স্বাদের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হলো গোবরডাঙ্গা নাবিক নাট্যম এর নাট্যমিলন উৎসব ।
উৎসবের সূচনাতে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত নাটক একাডেমীর হৈমন্তী চট্টোপাধ্যায় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন , নাট্যনির্দেশক আশিস দাস, গোবরডাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর সুভাষ দত্ত এবং বাসুদেব কুন্ডু সহ আরো বিশিষ্টজনেরা।
এই দিন প্রথম নাটক পরিবেশন করে গোবরডাঙ্গা নাবিক নাট্যমের শিশু কিশোর বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা “তিনুর কিসসা”। মাত্র ৩০ মিনিটের এই নাটকটি দেখে মনে হল আগামী প্রজন্ম খুব শক্ত হাতে বাংলা থিয়েটারের হাল ধরবে। এরপর অঙ্গন বেলঘড়িয়া ” স্বাধীনতা কাকে বলে”নাটকটি পরিবেশন করেন। এই দিনের শেষ নাটক ছিলো”লাঠি”। পরিবেশন করেন গোবরডাঙ্গা নাবিক নাট্যম। মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের অমর সৃষ্টি এবং জীবন অধিকারীর সুনিপুণ নির্দেশনায় দর্শকদের নজর কাড়ে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে নাবিক নাট্যম পরিবেশন করেন একটি কোলাজ। ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ৭৫ বছরকে স্মরণীয় করে রাখতে উদযাপন করেন আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। নাচ গান গল্প কবিতা দিয়ে ১২ জন কুশীলব নিয়ে অবিন দত্ত এবং রাখি বিশ্বাসের নির্দেশনায় এই অনুষ্ঠানটি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। এরপর বিভব নাট্য একাডেমি পরিবেশন করেন তাদের নাটক “স্বপ্ন স্বদেশ”। এই দিনের শেষ নাটক ছিলো” স্পর্শ “। পরিবেশন করেন ইছাপুর আলেয়া ।
এই উৎসবের শেষ দিনে প্রথমেই ছিল একটি মনোজ্ঞ সেমিনার, যার বিষয় ছিল “থিয়েটার ইন এডুকেশন সিস্টেম “।এই সেমিনারে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন সঞ্জয় গাঙ্গুলী, অভিক ভট্টাচার্য এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।সেমিনারটির সঞ্চালনার দায়িত্ব ছিলেন নীলাদ্রি শেখর কাঞ্জিলাল। এই দিনে প্রথম নাটক ছিল “দুই পাখির ইচ্ছেপূরণ”।
পরিবেশনায় নট এ স্টোরিটেলার দ্বিতীয় নাটক পরিবেশন করেন দত্তপুকুর দৃষ্টির নাটক “জোনাকিরা ” ।তারপর গোবরডাঙ্গা নাবিক নাট্যম পরিবেশন করেন মনোজ মিত্রের বিখ্যাত নাটক ” পাখি “।জীবন অধিকারির নির্দেশনায় নাটকটির অভিনব প্রয়োগ দর্শক শ্রোতাগণকে মুগ্ধ করেছে। শেষ দিনের শেষ নিবেদন ছিলো মসলন্দপুর ইমন মাইম সেন্টারের নৃত্যনাট্য “আলিবাবা “। সব মিলিয়ে সাড়ম্বরে উদযাপিত হলো নাবিক নাট্যম এর নাট্য মিলন উৎসব