মৃত্যু নিয়ে বিরোধীদের রাজনীতিতে সমর্থন নেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরার অভিশপ্ত গ্রাম খাদিকুলের স্বজনহারা পরিবার গুলোর। দুর্ঘটনার ভয়াবহতা সাময়িক ক্ষোভের বহিপ্রকাশ হলেও তাঁরা আছেন মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতার সাথেই। তাই বিস্ফোরণকাণ্ডের ১১ দিনের মাথায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খাদিকুলে পৌঁছানোর পরেও আপনজনের মত তাঁর সাথে ভাগ করে নিয়েছে স্বজনহারা দু:খের যন্ত্রনা।
গত ১৬ মে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সাহাড়া অঞ্চলের খাদিকুল গ্রামে ভানু বাগের বাজী কারখানায় বিস্ফোরন হয়।দুর্ঘটনাস্থলেই ৯ জনের মৃত্যু হয়।এর পরেও কারখানার মালিক ভানু বাগ সহ আরো দুই জনের মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়ে।
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ড নিয়ে অনেকে রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন । এই প্রসঙ্গে মমতা বলেন,আমি রাজনীতি করতে আসিনি। সকলকে সাহায্য করতে এসেছি।
সেই সাথে আহত-নিহতদের একজন সদস্যার মত শনিবার খাদিকুলে দাঁড়িয়ে ঘটনার ১১ দিন পর তিনি ঘটনাস্থলে আসার জন্যও দুঃখপ্রকাশ করেন। স্বীকার করেন এই ঘটনায় প্রশাসনিক ব্যর্থতা ছিল।
শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত এবং আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,এই ঘটনা থেকে আমাদের চোখ খুলে গিয়েছে। আগামী দু’মাসের মধ্যে রিপোর্ট আসবে। অবৈধ বাজি কারখানায় কাজ করে জীবন নষ্ট যেন না হয়। শুধুমাত্র গ্রিন ফায়ার ক্র্যাকারের ক্লাস্টার তৈরি হবে ফাঁকা জায়গায়। তাতে চাকরিটা বাঁচবে। এমন দুর্ঘটনাও হবে না।আমি আপনাদের সকলের কাছে মাথা নত করে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইছি।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন নিহতদের পরিবারপিছু আড়াই লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন মমতা। এছাড়া নিহতদের পরিবারপিছু একজনকে হোমগার্ডের চাকরিও দেন। নিজে দাঁড়িয়ে প্রত্যেকের হাতে নিয়োগপত্র এবং চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খুদে সদস্যদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ারও নির্দেশ দেন।