কাঁথি পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের রাখালচন্দ্র বিদ্যাপীঠের সামনে নয়নজলির উপরে স্থায়ী পাকা বাড়ির নির্মান ভেঙ্গে দিলো কাঁথি মহকুমা ও পৌর প্রশাসন।গত প্রায় এক মাস ধরে স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলার তাপস দলাইর নেতৃত্বে এই অবৈধ নির্মানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিলেন এলাকার বাসিন্দারা।
রাখাল চন্দ্র বিদ্যাপীঠের সামনের এই জলনিকাশ দিয়ে পাশাপাশি ৭টি মৌজার জল কাঁথির মুল ক্যানেলে গিয়ে পড়ে।
স্থানীয় কাউন্সিলার তাপস দলাই জানিয়েছেন মূলত করকুলি, কিশোরনগর, পদ্মপুখুরিয়া,কনকপুর তেঘরী,ধর্মদাসবাড়,বেনামুড়ি প্রভৃতী মৌজার জল এই নয়নজলি দিয়ে ক্যানেলে পড়ে।রাতের অন্ধকারে নির্মান কাজ চলছিলো।
প্রসঙ্গত এই নির্মান অবিলম্বে বন্ধ করার দাবিতে গত ১৭ তারিখ সাতটি মৌজার বাসিন্দারা রাখাল স্কুলের সামনে প্রতীকি অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন।সেই অবরোধে নেতৃত্ব দেন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাপস দোলাই, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশীল দাস, কন্টাই সুপারষ্টার ক্লাবের সম্পাদক বিশ্বজিৎ দত্ত, শিক্ষক দীপক প্রধান, প্রাক্তন শিক্ষক বিপুল রঞ্জন মির্দা, প্রাক্তন সরকারি কর্মচারী মনোরঞ্জন সিং,গনেশ পাত্র, কিশোর কল্যান সংঘের সম্পাদক অরিন্দম প্রধান, রাজীব ক্লাবের সম্পাদক নিতু দেব প্রমুখ।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছিলেন তৃনমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের থেকে জমি লিজ নিয়ে প্রলয় মিত্র এই নির্মান কাজ চালাছিলো।সব জানার পরেও প্রশাসন অদ্ভুত ভাবে নীরবতা পালন করছিলো।তাই বাধ্য হয়ে পথ অবরোধ করতে হয়।
কন্টাই সুপারষ্টার ক্লাবের সম্পাদক বিশ্বজিৎ দত্ত বলেন দেরীতে হলেও প্রশাসন তাদের কথা রেখেছে।সাতটা মৌজার বাসিন্দাদের সমস্যার কথা বুঝেছেন,সার্বিক ভাবে কাঁথি পৌর এলাকার সকল বাসিন্দার কথা শুনেছেন।তাই মহকুমা শাসক,পৌর প্রধান,পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ।এর পাশাপাশি এই অবৈধ নির্মানকারীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা