বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার পর কেটে গেছে দুই দিন। কিন্তু সেই সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার কবলে পড়া চেনা-অচেনা মানুষদের জীবন বাঁচানোর আর্তনাদ
রফিকুল, রাজেশদের ঘুমকেড়েছে । অভিশপ্তভসেই ট্রেনের যাত্রী এরা অবশ্য মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। চোখের সামনে সহযাত্রীর মৃত্যু দেখেছেন। আহতদের চিৎকার শুনেছেন। শুনেছেন বাঁচার আর্তনাদ। সেই জায়গা থেকে তারা বাড়ি ফিরলেও,আতংক ঘিরে রেখেছে মনকে।
পশ্চিম মেদিনীপুরে বেলদা থানার টিটিয়া গ্রামের রফিকুল শাহা ও সেক রাজেশ। এরা কেরালার হোটেলে কর্মরত। ঈদের সময় পরিবারের সঙ্গে কাটাতে বাড়ি ফিরেছিলেন। তারপর কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে
রোজকারের তাগিদে ফের কেরালা ফেরার জন্য শুক্রবার খড়গপুর স্টেশন থেকে করমন্ডলে সওয়ারি হন। সব ঠিকঠাক ছিল। করমন্ডল বালেশ্বরের বাহানগা পৌঁছতে ঘটলো বিপত্ত। চিড়ে চ্যাপ্টা হয়ে গেল করমন্ডলের একের পর এক বগি। করমন্ডলের শেষের দিকে অর্থাৎ বি৩ বগিতে ছিলেন রফিকুল, রাজেশ। হয়তো শেষের দিকের বগিতে থাকায় প্রাণে বেঁচে ফিরলেন তারা।