রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহের নেতৃত্বেই হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন । স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ইস্তফা না দিলে রাজীবের পরিচালনাতেই হবে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট এমনটাই দাবি
করছেন বিশেষজ্ঞরা । রাজভবন-রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরোধের আবহে এবার রাজীব সিনহার পাশে দাঁড়আলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাটনায় বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দিতে
যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মমতা বলেন “রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সাংবিধানিক পদ। তাঁকে সরাতে হলে ইমপিচমেন্ট করতে হয়।”
পঞ্চায়েত ভোটের য়াবহে নানান বিতর্কের মধ্যেই বুধবার আচমকাই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার যোগদানপত্র ফেরত পাঠান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
রাজ্যপালের এই পদক্ষেপের ফলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়েছে বলে মনে করতে শুরু করেন বহু মানুষ। আর তার জেরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয় পঞ্চায়েত ভোটের ভাগ্য নিয়েও।যদিও সংবিধান
বিশেষজ্ঞরা সেটা মনে করেন না।
তাঁরা বলছেন নির্বাচন কমিশনারের যোগদান রিপোর্টে সই না করে ফিরিয়ে দিয়ে রাজ্যপাল তাঁর ‘ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ’ ঘটালেও রাজীবকে (বা অন্য কাউকে) নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে সরানোর
কোনও এক্তিয়ার তাঁর নেই। রাজীবকে ওই পদ থেকে সরালে গেলে ‘ইমপিচমেন্ট’ করতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে সংসদে ‘ইমপিচমেন্ট’ প্রস্তাব আনতে হবে। তা-ও স্বয়ং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে!
অতএব, স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ইস্তফা না দিলে রাজীবের পরিচালনাতেই হবে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট।
এর মধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটা নজিরবিহীন। তাঁর নিয়োগ বাতিলের তথ্য আমাদের কাছে নেই। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার একটি সাংবিধানিক পদ।
তাঁকে শপথ নিতে নয়। নিয়োগের ফাইল রাজ্যপাল নিজে স্বাক্ষর করে পাঠিয়েছিলেন। নিয়ম মেনে নিয়োগ হয়েছিল। এখন তাঁকে সরাতে গেলে হাই কোর্টের বিচারপতিদের মতো ইমপিচ করতে হবে।”
⭕আরো সংবাদের জন্যে নীচের লিংক গুলোতে ক্লিক করুন👇
https://www.facebook.com/neelushik?mibextid=ZbWKwL
https://youtube.com/@ekhansangbad5105
সংবাদ // বিজ্ঞাপন – এর জন্য যোগাযোগ করুন – ৭০০১৯৮১০২৬ , ৯৯৩২৪৫০৫৪৫