প্রায় শতবর্ষ প্রাচীন প্রাথমিক বিদ্যালয় এক পলকে হয়ে গেল সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র ! প্রধান শিক্ষক হলেন সুপার ! আজব কান্ড ঘটালো হুগলীর বৈদ্যবাটি পুরসভা।এই পুরসভার ১৭ নম্বর
ওয়ার্ডের চক স্টেশন রোডে চকপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রায় শতবর্ষ প্রাচীন।সেই স্কুল নীল সাদা রং করে বিদ্যালয়ের নাম মুছে টাঙানো হয়েছে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের
ফ্লেক্স। যেখানে এখনো নিয়মিত বিদ্যালয় চলে ছাত্রছাত্রীরা উঠোনে মিড ডে মিল খায়, সেখানে নাকি চলবে স্বাস্থ্য কেন্দ্র!
এই নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে বিজেপি কর্মীরা। তাদের আশঙ্কা এরপর বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হবে।এর প্রতিবাদে আজ বিজেপি কর্মীরা দলীয় পতাকা নিয়ে
বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান।
বিজেপি কর্মীদের দাবি আলাদা করে জমি কিনে সেখানে স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করা হোক কেন্দ্রীয় সরকার এর জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে। হঠাৎ করে এরকম এক পুরনো বিদ্যালয়ের নাম মুছে
দেওয়াটা কখনোই ঠিক নয়।
বৈদ্যবাটির পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো অবশ্য দাবি বিদ্যালয় বিদ্যালয়ের মতোই চলবে। সরকারি তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি এসেছিল বৈদ্যবাটি পৌরসভায় মোট নটি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করতে হবে
। শুধুমাত্র পোর্টালে নাম তোলার জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ব্যানার লাগানো হয়েছে।
প্রাথমিক স্কুলে ১২০ জন পড়ুয়া পাঁচজন শিক্ষক আছেন।স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,মৌখিকভাবে আমাদের জানানো হয়েছিল পুরসভা থেকে।তারপর একদিন
ইঞ্জিনিয়ার এসে দেখে গেছে।স্কুলের উপরে ঘর হবে সেখানেই চলবে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র।স্কুল থাকবে স্কুলের মত এমনটাই বলা হয়েছে।