Select Language

[gtranslate]
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

।। উপহার ।।

স্নিগ্ধা_দাস

—” এ কী মা, এতো জিনিস?!! অনলাইনে আনালেন?”

—” হ্যাঁ, পুলুকে কালকে লিস্ট করে দিয়েছিলাম, আজ এইমাত্র এলো। দেখি মিলিয়ে নিই সব ঠিকঠাক এলো কী না।”

—” তা, মা কেউ আসবে বুঝি?”

পরমাদেবী মাথা নাড়েন। বলেন, “হ্যাঁ, আমার খুব কাছের একজন আসবেন।”

তিস্তা ভাবে…কে আসবে, মা তো আমায় কিছু বলেনি…

পরমাদেবী বলেন, “বৌমা তুমি তো এখনই বেরোবে?”

—” হ্যাঁ মা, এই তো ডল রেডি হয়ে এলেই বেরোবো।”

—” একটা কথা ছিল বৌমা।”

—“হ্যাঁ, বলুন না”

—” বলছিলাম, কালকে তুমি তোমার বাড়ির রান্না, মানে ঐ আর কী বাঙাল রান্না, তোমার পছন্দ মতো, দুটো পদ রেঁধে দিয়ে তবে অফিস যেও, কেমন?”

তিস্তা শাশুড়িমার কথা শুনে অবাক হয়ে ওনার দিকে তাকিয়ে বলে, “কালকে তো আমার অফিস আছে, তাছাড়া ডলকে স্কুলে টাইম মতো পৌঁছাতে তো হবে…”

—” কালকে ডল দিদিভাই স্কুল যাবে না, ওর এক বন্ধুর জন্মদিন আছে, সেখানে যাবে। তুমি জানোনা? তোমাকে বলেনি?”

ডল সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে বলে, “আমি মাকে বলতে ভুলে গেছি ঠাম্মি। সরি মা।”

তিস্তা বলে, “সে ঠিক আছে, কিন্তু আমি কাল সকালে কীভাবে রান্না সেরে অফিস যাবো!”

—” সে সব আমি কিছু জানিনা। তোমাকে করতে হবে ব্যস। তা তুমি যদি মনে করো ভোর ভোর উঠতে অসুবিধা হবে, তাহলে রাতেও করে রাখতে পারো। খাবার সময় না হয়, গরম করে নেওয়া যাবে। আর হ্যাঁ, কী রান্না করবে, সেটা ভেবে আমায় মেসেজ করে দিও, কিছু আনানোর হলে, আমি সরমাকে দিয়ে আনিয়ে রাখবো।”

তিস্তা বলে, “আমরা বেরোলাম।”

ডলকে স্কুলে পৌঁছে, অটোতে বসে তিস্তা ভাবে, সে বিয়ে হয়ে এসেছে প্রায় ১২ বছর হয়ে গেল। কই কোনোদিন তো, মা বা পলাশ তাকে কোনো কাজের জন্য কোনোদিন জোর করেনি! তিস্তা রান্না করতে ভালোবাসে, তাই ও সময় পেলেই কিছু না কিছু রান্না করে। এরা ঘটি, কিন্তু তাদের বাঙাল বাড়ির কিছু কিছু রান্না খুব ভালোবাসে। কোনোদিন কিছু খেতে ইচ্ছা করলে তিস্তাকে বলে রাখে, তোমার সময়মতো এই রান্নাটা করে খাইওতো.. কিন্তু আজকের মতো এমন জোর করে কোনোদিন বলেনি। কে জানে কে এমন আসবে যে শাশুড়িমা তাকে বাঙাল রান্না খাওয়াবে!!

অফিসে কাজের চাপে তিস্তা ভুলেই গিয়েছিল। টিফিনের সময় মনে পড়তে, তিস্তা ভাবে, তার হাতের নারকেল-সর্ষে দিয়ে কচুবাটা আর চিংড়িমাছের ধোঁকা এরা বেশি ভালোবাসে, তাহলে এই দুটোই বানাবে।
কী কী লাগবে, সে শাশুড়িমাকে মেসেজ করে দেয়।

তিস্তা সন্ধ্যাবেলা অফিস থেকে ফিরে, ওর রান্না করতে যা যা লাগবে সব দেখে গুছিয়ে রাখে, মটরডাল ভিজিয়ে রাখে।

সরমা বলে, “বৌদি, আমি চিংড়িমাছ বেছে ধুয়ে, ফ্রিজে রেখে দিয়েছি।”

তিস্তা বলে, “ঠিক আছে।”

তিস্তা রাতে মোবাইলে ভোর সাড়ে চারটেয় অ্যালার্ম দিয়ে রাখে।

পলাশকে বলে, “চারটের পর যদি তোমার ঘুম ভাঙে, আমায় ডেকে দিও।”

পলাশ বলে, “তা কাল কী রান্না হচ্ছে?”

তিস্তা বলে, “কালকেই দেখতে পাবে। আচ্ছা তুমি জানো, কাল কে আসবে?”

পলাশ বলে, “আমি ওসব জানিনা।”

পরদিন কাজের টেনশনে তিস্তার অ্যালার্ম এর আগেই ঘুম ভেঙে যায়। সে আস্তে করে নিচে নেমে আসে। সরমা তো আসবে ৬টার পরে। তিস্তা আস্তে আস্তে কাজ শুরু করে।

সরমা এসে বলে, “বৌদি কিছু হেল্প করতে হবে?”

তিস্তা বলে, “না না তুমি বাইরের কাজ সেরে নাও, ততক্ষণে আমার হয়ে যাবে।”

পরমাদেবী স্নান করে পুজো সেরে যখন আসেন, তখন তিস্তার রান্না হয়ে গেছে।
তিস্তা বলে, “সরমা আমি চা আর ভাতটা বসিয়ে দিয়েছি, এবার তুমি সামলাও।”

তিস্তা চা খেয়ে উপরে গিয়ে রেডি হয়ে নিচে নামে, রোজগার মতই শাশুড়িমা তার ভাত বেড়ে, টিফিন এগিয়ে দেন।

পরমাদেবী বলেন, “আচ্ছা বৌমা, তোমার মা কেমন আছে এখন? পায়ের ব্যথাটা কমেছে?”

তিস্তা বলে, “কাল ফোন করেছিলাম, বললো তো, একটু কম আছে। ছোটোমাসি এসে আছে। আমার তো সময়ই হচ্ছে না, মাকে একটু দেখতে যাবো..”

—“তা সময় করে একদিন ঘুরে এসো।”

—“মা, আজ যিনি আসবেন, তিনি আজ থাকবেন তো?”

পরমাদেবী বলেন, “হ্যাঁ হ্যাঁ, উনি থাকবেন।”

তিস্তা বলে, “তাহলে মা, আজকে যাবো ও বাড়ি?”

—” তা যেতেই পার।”

—“মা, তাহলে ক’টা চিংড়ির ধোঁকা নিয়ে যাবো? মা খেতে খুব ভালোবাসে।”

পরমাদেবী বলেন, “না না ওসব নেওয়ার দরকার নেই, অল্প ক’টাই তো বানিয়েছো, বাইরের দোকান থেকে কিছু নিয়ে নিও। মায়ের জন্য অন্য আরেকদিন বানিয়ে নিয়ে যেও।”

তিস্তাকে শাশুড়িমা ভাতের পাতে দু’টো বড়া দিয়েছিল, তিস্তা শাশুড়িমার কথা শুনে, আর খেতে পারে না, চোখের জল সামলে উঠে পড়ে, ওই খাবার আর তার গলা দিয়ে নামবেনা।

তিস্তা ভাবে, এ কেমন কথা বললেন আজ! আগে যতবার উনি জানতে পেরেছেন, তিস্তা মায়ের কাছে যাবে, উনি তো এটা সেটা বানিয়ে দিয়েছেন, বলেছেন তোমার মা এটা ভালোবাসেন, নিয়ে যাও। কিন্তু আজ কি এমন হলো? উনি এমন করে বললেন…!!
তিস্তা তাড়াতাড়ি করে উঠে পড়ে।

ডল বলে, “মা বেরোবার আগে, আমার বন্ধুর জন্মদিনের গিফ্টের টাকাটা দিয়ে যাও।”

তিস্তা বলে, “কী দিবি বন্ধুকে?”

—” মা আমরা সবাই মিলে কেক আর গিফ্ট নিয়ে যাবো।”

—” তা কত টাকা লাগবে?”

—” তুমি যা দেবে দাও না, লাগলে আমি ঠাম্মির কাছ থেকে নিয়ে নেবো।”

তিস্তা ২০০ টাকা ডলের হাতে দিয়ে বলে, টাকাটা ঠাম্মির কাছে রাখো। “আমি এলাম”, বলে তিস্তা বেরিয়ে যায়।

তিস্তা বেরিয়ে যাবার পর, পলাশ নিচে নামে, বলে, “মা ভাত দাও।”

খেতে খেতে পলাশ বলে, “তাহলে ক’টার সময় তারককে আসতে বলবো?”

পরমাদেবী বলে, “ঐ ৪টে নাগাদ বলে দিবি।”

…………..

—” ডল তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে, সরমা তোর হলো?”

—” হ্যাঁ বড়মা, আমার ব্যাগ গোছানো রেডি।”

—” তারক এসে গেছে। নে ব্যাগগুলো গাড়িতে তোল.. ডল, সরমাপিসিকে সাহায্য করো। আমি গেটে তালা দিই।”

গাড়িতে উঠে পরমাদেবী তারককে বলেন, “তারক, মিওআমোরের সামনে একটু দাঁড়াবে।”

……………

—“পুটু দেখ তো কে এলো?”

—” আসছিইইই। দিদা, দিদা দেখো, কারা এসেছে..”

নমিতাদেবী আস্তে আস্তে বাইরে আসেন।
—” আরে দিদি, তুমি কেন পায়ের ব্যথা নিয়ে আসছো? আমরা তো আসছি।”

—” এসো বোন, এসো ডলদিদু। তোমার মা আসেনি?”

—” মা তো এখন অফিসে।”

—” চিন্তা করো না দিদি, তোমার মেয়ে জামাই সবাই আসবে।”

নমিতাদেবী বলেন, “এত কী এনেছো??”

ডল বলে, “দিদু সব জানতে পারবে।”

নমিতাদেবী বলেন, “পুটু ওদের জল মিষ্টি, চা দে। আর দেখতো, ফ্রিজে আইসক্রীম আছে, ডলদিদুকে দে।”

পরমাদেবী বলেন, “শুধু চা দাও আমাদের, খাওয়াদাওয়া পরে হবে। দিদি তোমাকে একটা কাজ করতে হবে।”

নমিতাদেবী অবাক হয়ে বলেন, “কাআআজ?!”

পরমাদেবী বলেন, “তোমার মেয়েকে ফোন করে বলো, তোমার পায়ের ব্যথাটা বেড়েছে, ওকে এক্ষুনি আসতে। যদিও ওর আসার কথা আছে, তবুও যদি কোনো কারণে না আসে…”

…………
—” হ্যালো তিস্তা, আমি মা বলছি।”

—” হ্যাঁ মা, বলো।”

—” আমার না পায়ের ব্যথাটা খুব বেড়েছে, বিছানা থেকে উঠতেই পারছি না..তুই একবার আসবি মা?”

—” হ্যাঁ মা, আমার যাবার তো কথা আছেই আজকে। আমি একটু পরেই যাচ্ছি তোমার কাছে। সাবধানে থেকো ততক্ষণ, শুয়ে থাকো একটু, রেস্ট নাও, আমি আসছি।”

নমিতাদেবী ফোন কেটে দেয়।

পরমাদেবী এবার তিস্তাকে ফোন করে।
—” হ্যালো বৌমা, শোনো না তোমার মা ফোন করেছিলেন।ওনার খুব কষ্ট হচ্ছে, আমি তারককে তোমার অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছি, তুমি পলুর অফিসে চলে যাও, তারপর ওকে নিয়ে একেবারে তোমার মায়ের বাড়িতে যেও। তারক তোমাকে ফোন করে নেবে, খেয়াল রেখো।”

ফোন কেটে পরমাদেবী বলেন, “তা দিদি, শুনলাম তোমার ছোটবোন এসে আছে, সে কোথায়?”

—” ও একটু বেরিয়েছে, আমারই ওষুধ আর ক’টা জিনিস আনতে।”

—” কই কে আমার নাম করছে? আরে তোমরা এসেছো, সব ভালো তো?”

—” হ্যাঁ, তোমাকেই চাইছিলাম, চলো তাহলে আমাদের প্ল্যানটা করে ফেলি।”

নমিতাদেবী সব শুনে বলেন, “তা তোমরা জানলে কী করে?”

ডল বলে, “সব বলবো দিদু, আগে তো মাকে আসতে দাও…”

পরমাদেবী পুটু আর ডলকে বলেন, “যাও তোমরা তোমাদের কাজ শুরু করে দাও। তাড়াতাড়ি করবে, একঘন্টার মধ্যেই ওরা এসে পড়বে কিন্তু।”

……..
—” আরে কতবার বেল বাজাচ্ছি, শুনতেই পারছে না নাকি!! এই পুটু দরজা খোল। সবাই কী ঘুমিয়ে পড়লো না কী!!”

—” আরে এইতো মাসি, এসো, এসো।”

তিস্তা বলে, “মা ঠিক আছে তো?”

ঘরে পা দিয়েই সে অবাক হয়ে যায়। —“এ কী! আজ কার জন্মদিন??!! আমি তো জানিনা! মা, ওমা, তুমি কোথায়?”

—” আমরা সবাই আছি।”

শাশুড়ি পরমাদেবী তারপর ডলকে এ বাড়িতে দেখতে পেয়ে, তিস্তা অবাক হয়ে বলে, “এ কী আপনারা? ডল যে বললো, ওর বন্ধুর জন্মদিন..!”

ডল বলে, “হ্যাঁ, দিদু তো আমার বন্ধুই হয়, নাকি?”

—” মা তোমার আজ জন্মদিন? কই আমি তো জানতাম না। তুমি তো আমাদের বলতে তোমাদের কোনোদিন জন্মদিন হয়নি?? তারিখটাও তো ঠিক করে বলতে না। শুধু বলতে জৈষ্ঠ্যমাসে…”

ডল বলে, “মা তুমি একটু শান্ত হয়ে বসো। আচ্ছা মা, তোমার মনে আছে, দিদু ক’দিন আগে, বাবাকে আধার কার্ডের লিঙ্ক করাতে দিয়েছিল? সেখান থেকে আমি দেখেছি। তখন থেকেই বাবা আর ঠাম্মির সাথে প্ল্যান করেছিলাম, দিদুকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে, জন্মদিন পালন করবো। কিন্তু দিদু রবিবারদিন পড়ে গিয়েই, আমাদের প্ল্যান সব ভেস্তে যাচ্ছিল! কিন্তু ঠাম্মি বললো, আমরা সবাই এই বাড়িতে এসে জন্মদিন পালন করবো। এসো দিদু, সবাই তো এসেই গেছে, এবার কেকটা কাটো।”

নমিতাদেবী বলে, “দেখ না, জোর করে এসব সব করছে। এসব আমাদের আবার হয় নাকি! আর তারিখ, সে তো পলাশ, কোথা থেকে কী তারিখের প্রমাণ পেয়েছে, ঐ জানে..”

ডল বলে, ” তা যাই হোক না কেন, এটাই এখন থেকে তোমার জন্মদিন। তোমার তো জন্মদিন ছিল না বলো। এখন থেকেই এই দিনটাই আমরা সেলিব্রেট করবো।”

নমিতাদেবী হাসতে হাসতে বলেন, “আচ্ছা চলো ডলদিদু, আমার সঙ্গে কিন্তু তাহলে তোমাকেও কেক কাটতে হবে।”

কেককাটার পর, পরমাদেবী একটা শাড়ি আর ডল একটা ছোট পার্স দেয়। পলাশ ব্যাগ থেকে একটা রিস্টওয়াচ বার করে।
তিস্তা বলে, “তুমিও সব জানো? গিফ্ট ও নিয়ে এসেছো?”

পলাশ বলে, “আরে শোনো না, আমি মাকে কী দেবো, সেটা তো বুঝতেই পারছিলাম না..! এদিকে তোমার সঙ্গে আলোচনাই করতে পারছি না! তারপর মনে পড়লো, মা একবার বলেছিলেন, মা রিস্টওয়াচ পছন্দ করেন। তাই এইটা পছন্দ করে আনলাম। দেখুন তো মা, আপনার পছন্দ হলো কিনা…”

নমিতাদেবী বলেন, “খুব পছন্দ, সবার সব গিফ্ট আমার খুব পছন্দ হয়েছে।”

তিস্তা বলে, “বাঃ খুব ভালো কিন্তু তোমরা কেন আমাকে তোমাদের প্ল্যান বললে না, শুনি?”

পরমাদেবী বলেন, “আমরা যদি তোমার সাথে প্ল্যান করে সব করতাম, তাহলে সকালে আমি যে বাজে শাশুড়ির তকমা পেলাম, সেটা কী করে হতো?”

তিস্তা বলে, “সত্যি মা, আমি সারাদিন শুধু ভেবেই গেলাম, আজ আমার সাথে তুমি এমন ব্যবহার করলে কেন?!!”

নমিতাদেবী সকালের সব ঘটনা শুনে, মেয়েকে বলেন, “মা একটা কথা শুনে রাখ। কোনোদিন কারোর একদিনের ব্যবহার নিয়ে কোনো মানুষকে বিচার করবি না। মনে করবি, তার পিছনে কোনো কারণ আছে। সে কোনো মন্দ ব্যবহার ই বলো, আর খুব ভালো ব্যবহারই বলো।”

তিস্তা বলে, “আমি মনে রাখবো।”

আর শাশুড়িমাকে জড়িয়ে ধরে বলে, “সরি মা, আমাকে ক্ষমা করে দিও, তোমার উপর রাগ করার জন্য।”

পরমাদেবী বলেন, “আচ্ছা,আচ্ছা ঠিক আছে। এখন তো চলো, শাশুড়ির উপর রাগ দেখিয়ে, যে রান্নাগুলো বানালে, সেগুলো সকালে একটু চেখেও দেখলে না। এখন চলো সবাই খাবে চলো..আর আমি কী কী বানিয়েছি, সেটাও তো জানোনা.. চলো খাবারগুলো এখন গরম করে, তুমি মাকে নিজের হাতে সাজিয়ে খেতে দাও।”

খাওয়াদাওয়ার শেষে তিস্তা বলে, ” কিন্তু মা… সবই তো হলো…কিন্তু আমি তোমায় কিছু দিতে পারলাম না যে মা!”

নমিতাদেবী বলেন, “তোরা যে সবাই মিলে আমার জন্য এত করলি, এর চেয়ে আর বড় উপহার কিছু হয় না কী?!”

ekhansangbad
Author: ekhansangbad

Related News

Also Read