রাত পোহালেই রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন।ঠিক তার কয়েক ঘন্টা আগে সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেলেন ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা। তাঁদের পুনরায় ইন্টারভিউ দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, সেই নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
তবে একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, নতুন করে মামলাটির শুনানি হবে হাই কোর্টে।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় প্রথমে এক ধাক্কায় ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে সংখ্যা বদলে হয় ৩২ হাজার। চার মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল পর্ষদকে। বিচারপতি
জানিয়েছিলেন, চাকরিচ্যুতরা এই চার মাস স্কুলে যেতে পারবেন। তবে তাঁদের বেতন দেওয়া হবে পার্শ্বশিক্ষকদের বেতনকাঠামো অনুযায়ী।
এর বিরুদ্ধে চাকুরীহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলায় চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। তবে পুনরায় ইন্টারভিউ নেওয়ার নির্দেশ বহাল
ছিল ডিভিশন বেঞ্চেও। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
শীর্ষ আদালতে বিচারপতি জে কে মহেশ্বরী এবং কে ভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চ হাই কোর্টের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে। অর্থাৎ, ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষককে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে না।