৫১ দিনের মাথায় এক পড়ুয়ার মৃতদেহ হাতে পেল তার পরিবার।ফ্রান্সের প্যারিসে পড়াশুনো করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিলো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের দেউলিয়া গ্ৰামের ছাত্র শমীক মাইতি(৩১) নামে এক যুবকের।
ক্যামপিউটেশানাল ফুইটস ম্যাকানিকস্কে নবম স্থান দখল করে প্যারিসের কসবাড ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার জন্য ১ মে বাড়ি থেকে প্যারিসের উদ্দেশ্য যায়।কিন্তু প্যারিস বিমানবন্দরে পৌঁছেতেই তার শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এরপর বিমানবন্দর থেকে তাকে প্যারিসের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়।গত ২৩ শে মে খবর আসে তাদের ছেলে মারা গিয়েছে।এরপর পরিবার বিভিন্ন দপ্তর এবং ভারতীয় দূতাবাস এবং প্যারিসের দূতাবাসে যোগাযোগ করেও কোনো সুরাহা পায়নি মৃতের পরিবার।পরে প্যারিস দূতাবাস থেকে জানানো হয় যে মৃতদেহ বাড়িতে আনতে আনুমানিক ৬ লক্ষ টাকা দিতে হবে। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা খরচ করে ছেলের মৃতদেহ আনা কোনো ভাবেই সম্ভব হয়ে ওঠে না।এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দ্বারস্থ হন।সাহায্যের আবেদন জানান রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরীর কাছেও
রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী, শুভেন্দু অধিকারী এবং বিদেশমন্ত্রকের সহায়তায় আজ ১৩ মে কফিনবন্দী দেহ দেউলিয়ায় তার বাড়িতে ফিরলো।একেবারে ৫১ দিনের মাথায় মৃত ছাত্রের পরিবার দেহ হাতে পেলো রাজ্যের শাসক্নো বিরোধী দলের সহযোগিতায়।
রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী,রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর সহায়তা ছিলো বলে দাবি করেন ছাত্রের পরিবার।
প্যারিস থেকে ৫১ দিনের মাথায় মেধাবী ছাত্র শমীক মাইতির দেহ তার পরিবার হাতে পান দেহ।দেহ আসার পরই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার ও প্রতিবেশীরা।